বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ব্রীজ ভেঙ্গে খালে পড়ে ৩টি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে এসবি বাজার সংলগ্ন বারইখালী-বহরবুনিয়া দুটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সংযোগ খালের ওপর নির্মিত ব্রীজটির সংস্কার কাজ চলাকালীন সময়ে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় বহবুনিয়া ইউনিয়নের ৮ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। ঘটনার পরপরই মোরেলগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল মালেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী বহরবুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা অধ্যক্ষ আনসার আলী আকন, সাবেক মেম্বার ফোরকান হোসেন প্রিন্স, শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খান, জাহাঙ্গীর শিকদার জানান, বহরবুনিয়া, বারইখালী ও জিউধরার ৩টি ইউনিয়নের চলাচলের জন্য এসবি বাজারের কাছে ২০/২৫ বছর আগে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। শনিবার সকাল থেকে ব্রীজের লোহার খাম্বাগুলোর ঝালাইয়ের কাজ চলছিল। এসময় ব্রীজের ওপর থেকে ৪/৫ জন পথচারী পার হতে ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে পড়ে ব্রীজটি।

তারা আরো জানান, এ ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, ফকিরবাড়ি, শনিরজোড়, কলেজ বাজার, কালিবাড়ি বাজার, সিরাজ মাষ্টার বাজার, বারইখালীর উত্তর সুতালড়ীর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শিশু, শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও পথচারীরা বিকল্প নৌকায় পারাপার হচ্ছেন।

বহরবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেন তালুকদার বলেন, তিনি গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার পরপরই বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। জরুরী ভিত্তিতে ব্রীজটির পুনর্নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ কর্মকর্তাদের প্রতি দাবী জানান তিনি।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বহবুনিয়া ইউনিয়নে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার বিষয়টি শুনে তাৎক্ষনিক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল মালেককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘবের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন।