বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটে পুলিশ ও জেএমবি’র সদস্যদের মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাতনামা (৪৫) এক ব্যক্তি নিহত ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র, হাতবোমা ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলা রাখালগাছি ইউনিয়নের রাখালগাছি বাজারের কাছে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) গাজী ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ এনে পৃথক তিনটি মামলা করেছেন।
নিহত ওই ব্যক্তিকে পুলিশ জেএমবি সদস্য বলে দাবী করেছে। তবে তার নাম পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সজীব বিশ্বাস, মো. রুবেল ও টিপু সুলতান।
উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি শুট্যারগান, তিনটি হাতবোমা ও পাঁচটি গুলি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় সকালে এই প্রতিবেদককে বলেন, শনিবার রাত দেড়টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের রাখালগাছি বাজারের কাছে ১০/১২ জনের জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জেএমবি’র একটি দল নাশকতা ঘটাতে অবস্থান করছে এই গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মডেল থানা পুলিশের যৌথদল সেখানে যায়। জেএমবি সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের গাড়ী লক্ষ্য হাতবোমা নিক্ষেপ ও গুলি চালাতে শুরু করে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধাঘন্টা বন্দুকযুদ্ধ চলার এক পর্যায়ে তারা পিছু হটলে সেখান থেকে পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সী একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি জেএমবি সদস্য বলে তিনি দাবী করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি শুট্যারগান, তিনটি হাতবোমা ও পাঁচটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এরআগে গত ২৫ অক্টোবর বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিসাখালি গ্রামের সাফায়েত শেখের বাগানবাড়িতে নাশকতা পরিকল্পনার বৈঠকে অভিযান চালিয়ে চার জেমএমবি সদস্যকে এবং ৩ নভেম্বর ভোর রাতে বাগেরহাট শহরের দড়াটানা ব্রিজের নিচে অভিযান চালিয়ে চারজনকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই সময়ে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এম মনিরুজ্জামান জেএমবির এই গ্রুপটি বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ,পিরোজপুর ও যশোর জেলার একাংশের আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশ সদস্যদের টার্গেট করে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল বলে দাবী করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।