বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি এলাকায় শামিমা নাসরিন নামে এক নারীকে গাছে বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পিতা আব্দুল গফফার গাজী বাদী হয়ে আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাতে ১৪ জনকে আসামী করে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭। এখনও পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার আসামীরা হলো, আব্দুল খালেক গাজী, আরাফাত হোসেন, আকফার হোসেন গাজী, নুর আলম, শফিকুল ইসলাম গাজী, রফিকুল ইসলাম গাজী, লিয়াকত গাজী, সালাউদ্দিন গাজী, খোকন গাজী, নাসরিন সুলতানা, সাবিনা আক্তার, সাহিদুর রহমান, আব্দুল মালেক গাজী ও আফসার গাজী।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ এ.বি.এম.এস. দোহা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। তবে আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
প্রসংগত, ঈদের পরের দিন সোমবার ( ১১ জুলাই) সকালে প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক আব্দুল গফফার গাজীর জমিতে ঘর নির্মাণ করতে যায়। এসময় তার মেয়ে শামিমা নাসরিন ও তার ভাবী সালমা খাতুন ঘর নির্মাণে বাধা দেন। তখন প্রতিপক্ষ শামীমাকে বাড়ির ভেতর থেকে বের করে দাড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে। তার সমস্ত শরীরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে ও কামড় দেয়। শরীরের কাপড় খুলে স্পর্শকাতর স্থানে উন্মুক্ত করে দেয় দুর্বৃত্তরা। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। কয়রা থানার এসআই মাসুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দড়ি খুলে তাকে উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থা অবনতি হলে সোমবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানকার সার্জরী বিভাগে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল জোর চেষ্টা চালায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।