Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আনোয়ারায় সিইউএফএল’র বিষাক্ত বর্জ্যে মরছে মাছ

অর্ধ শতাধিক গরু মহিষের মৃত্যু

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদ্বিয়ায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)র রাসায়নিক বর্জ্যের বিষাক্ত পানিতে অন্তত ১০টি মৎস্য খামারের মাছের মৃত্যু ঘটছে। এতে ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবি করেন। উপজেলার বারশত ইউনিয়নের গোবাদিয়া ও পারকি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় এলাকায় মাছের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছেন তারা কোন ধরনের রাসায়নিক বর্জ্য খালে ছাড়েনি।

ক্ষতিগ্রস্থ গোবাদিয়া গ্রামের খামারি মিঠু চৌধুরী বলেন, আমার ৩ একর মৎস্য প্রজেক্টে গত কয়েকদিন থেকেই কিছু কিছু মাছ মরতে শুরু করেছে। মরা মাছের গন্ধে আশপাশের এলাকা দুষিত হয়ে পড়ে। আমার খামারে রুই, কাতলা, কোরাল, চিংড়িসহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে গেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম. এ. কাইয়ুম শাহ বলেন, কয়েক বছর আগে কারখানার বর্জ্যের বিষাক্ত পানি ছাড়ার সময়এলাকায় মাইকিং করত কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তারা মাইকিং না করায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে করে এলাকার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বেশি।

জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)র রাসায়নিক বর্জ্যরে বিষাক্ত পানি কিছুদিন পরপর কারখানা সংলগ্ন খালে ছেড়ে দেয়। এসময় খালের পানি পান করে স্থানীয়দের গরু মহিষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। গত এক বছরে এ পানি পান করে অর্ধ শতাধিক গরু মহিষের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গল ও বুধবারও একইভাবে রাসায়নিক বর্জ্যরে বিষাক্ত পানি খালে ছাড়লে আশপাশের মৎস্য খামারগুলোতে মাছের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এসময় মৎস্য খামারি গোবাদিয়া এলাকার মিঠু চৌধুরী, মো. হারুন, মো. আজগর, খোরশেদ, জসিমসহ অন্তত ১০টি মৎস্য খামারের ৩০ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে ভেসে উঠে।

এ প্রসঙ্গে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আখতারুজ্জামান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সিইউএফএল থেকে কোন প্রকার রাসায়নিক বিষাক্ত বর্জ্য পানি ছাড়া হয়নি। মাছ মারা যাওয়ার খবর শুনে আমি খাল ও মৎস্য খামারের পানি সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে দিয়ে পরীক্ষাও করেছি। সেখানেও কারখানার কোন রাসায়নিক পানি পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ