Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃষ্টি নামতে পারে সিলেট, লাঘব হতে পারে চামড়া পোড়া যন্ত্রনার!

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২২, ৭:১২ পিএম

গায়ের চামড়া পুড়া গরমের পর অবশেষে সিলেটে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার সিলেটে ৩৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ণয় করা হয়েছে- বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেটের আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য। তিনি বলেন, গেল কয়েকদিন ধরে সিলেটে মৃদু ও মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ চলছে। তবে আজ থেকে কমতে শুরু করেছে তাপপ্রবাহ। আজ শুক্রবার রাতে স্বস্তির বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন- আজ ও কাল রাতে হাল্কা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী ১৭ জুলাই থেকে দিন ও রাতে হাল্কা থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন- জুলাই মাসের ৬৭ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই)। এ দিন সিলেটে তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, আজ সকাল ৯টায় সিলেটে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭২ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ৬টায় তা দাঁড়ায় ৫৪ শতাংশে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়নি বলেও জানান তিনি। এদিকে, বৃহস্পতিবার যে তাপমাত্রা বাড়বে, তার আভাস বুধবারই দিয়েছিলেন সিলেটের আবহাওয়াবিদরা। কিন্তু তা যে একলাফে প্রায় দুই ডিগ্রি বেড়ে যাবে, তা কে ইবা অনুমান করেছেন! বাস্তবে তাই ঘটেছে। দিনটাতে ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের এক উত্তপ্ত কড়াই ছিল সিলেট অঞ্চল। হাসফাঁস অবস্থাতো ছিলই, বারবার গোসল করতে করতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কি গ্রাম, কি শহর- সর্বত্র ছিল এক অস্বাভাবিক অবস্থা। অতিরিক্ত গরমে গায়ের জ্বালাপোড়া ভাব দূর করার কোন উপায়ই ছিলনা কারো। এরমধ্যে আবার ছিল লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। তার উপর কোথাও এক ফোটা বৃষ্টিও ঝরেনি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটা সাইক্লোনই এই অতিরিক্ত গরমের কারণ বলে জানালেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের নিসিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। তিনি জানান, একটা সাইক্লোনের জন্ম হয়েছিল গভীর সমুদ্রে। তবে সেটি তার ভয়ঙ্কর রূপ নেয়ার আগেই প্রাকৃতিক কারণে ভেঙে পড়ে। তার প্রভাবেই এই ভয়ঙ্কর উত্তাপ। সেই সাইক্লোন আর বাংলাদেশের দিকে আসছেনা। ভঙুর অবস্থায় তার গতি এখন ভারতের উড়িষ্যা উপকূলের দিকে। তবে এর প্রভাবে বৃষ্টি আসছে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই থেকেই সিলেট অঞ্চলের তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী। আজ বৃহস্পতিবার সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বুধবার সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪, সোমবার ছিল ৩৫ দশমিক ৫ আর ঈদের দিন রোববার সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটবাসী এই হাসফাঁস অবস্থা থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছেন। কেবলমাত্র বৃষ্টিই শীতল পরশে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে বৈরি প্রকৃতি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ