পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ যেন মুম্বাই সিনেমার দৃশ্য। গল্পে সারাদিন ভিলেন দাপিয়ে বেড়ালেও শেষ পর্বে ভিলেনের করুণ পরিণতি। নির্যাতিত নায়কের হাতে মার খেয়ে পালাতে হয়, কিন্তু কোথাও জায়গা হয় না। শ্রীলঙ্কার প্রতাপশালী রাজাপাকসে পরিবারের সেই দশা হয়েছে। স্বৈরশাসন চালানোর পর জনগণের বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়েও বাঁচতে পারছেন না। ভাইয়েরা পদত্যাগ করেছেন অনেক আগেই। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করেও পালিয়ে বাঁচতে পারছেন না। বন্ধুরূপি দেশ ভারত জায়গা দিচ্ছে না। যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই প্রতিরোধের মুখে পড়ছেন। পালিয়ে মালদ্বীপ গেছেন, সেখানেও জায়গা পাচ্ছেন না। শেষ খবর অনুযায়ী গতকালই তার সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা। এই হলো একজন স্বৈরশাসকের করুণ পরিণতি। শ্রীলঙ্কার গোতাবায়া রাজাপাকসের এ পরিণতি বিশ্ববাসীকে নতুন বার্তা দিচ্ছে।
এদিকে প্রেসিডেন্টের পলায়নের পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়া শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রেমাসিংহ দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তার উপেক্ষা করে জনগণ রাস্তায় পুলিশির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেও শেষরক্ষা হয়নি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর দফতরও দখলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। শেষাবধি রানিল বিক্রেমাসিংহে বলেছেন, দেশটিতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য ‘যা যা প্রয়োজন’ তা করার জন্য তিনি সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটিতে সদ্য জারি করা জরুরি অবস্থা ভেঙে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী কলম্বোতে তার অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়লে তিনি এ নির্দেশ দিয়েছেন। টেলিভিশনে দেয়া এক বিবৃতিতে মি. বিক্রেমাসিংহে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর প্রধানদের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনে বিক্ষোভকারীরা তাকে বাধা দিচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পার্লামেন্টের স্পিকার প্রধানমন্ত্রী বিক্রেমাসিংহেকে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা এ ঘোষণাকে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর আগে বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রীয় একটি টিভি চ্যানেলের অফিসে ঢুকে পড়লে তার সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রেমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার পর পরই তিনি সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। কিন্তু হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। তারা ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় এবং তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে, পানিকামান ব্যবহার করে। তাদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষও হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের চারপাশের দেয়াল বেয়ে ওপরে উঠে যায়। তারা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের প্রধান গেট ভেঙে ফেলে এবং শেষ পর্যন্ত ভেতরে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়। এসময় তারা সেখান সেøাগান দিয়ে উল্লাস করতে থাকে। অনেককেই মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি ও সেলফি তুলতে দেখা যায়।
একজন সংবাদদাতা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ভেতরে গিয়েছিলেন। তিনি বলছেন, শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে এটি আরো একটি ব্যতিক্রমধর্মী মুহূর্ত। কদিন আগে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও অফিসের ভেতরেও ঢুকে পড়ে। তিনি বলছেন, সেখানকার পরিস্থিতি বর্ণনা করা কঠিন। কিন্তু আসল প্রশ্ন হচ্ছে- এর পর কী? এর উত্তর বিক্ষোভকারীরাও জানে না।
প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রেমাসিংহে রাজধানী কলম্বোসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে কারফিউ এবং সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পরেও হাজার হাজার মানুষ কলম্বোর রাজপথে বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাদের লড়াই এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। তাদের দাবি সরকারের নেতৃত্বে যারা আছেন তাদের সবাইকে চলে যেতে হবে এবং দেশের যে অবস্থা হয়েছে তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার হতে হবে।
এ অবস্থার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বিক্রেমাসিংহে টেলিভিশনে ভাষণ দিয়েছেন এবং দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য যা কিছু করা দরকার সেসব করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার অফিসসহ সরকারি আরো যেসব ভবন বিক্ষোভকারীরা দখল করে রেখেছে সেগুলো থেকে তাদের চলে যাওয়ার জন্য তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সংবিধানকে আমরা ছিঁড়ে ফেলতে পারি না। ফ্যাসিবাদীরা ক্ষমতা দখল করবে এটা হতে দেওয়া যায় না। গণতন্ত্রের প্রতি ফ্যাসিবাদীদের এ হুমকির অবসান ঘটাতে হবে’।
কিন্তু তার এসব কথায় কেউ কান দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। কলম্বো থেকে একজন সংবাদদাতা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ ভাষণ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, দেশটির সেনাবাহিনী হয়তো রাজধানী কলম্বোর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার চলমান নজিরবিহীন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বিক্ষোভের মধ্যে সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রেমাসিঙ্গে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে সামরিক বিমানে করে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
প্রেসিডেন্টের দেশ ছেড়ে যাবার খবর বের হওয়ার পর সকাল থেকেই কলোম্বোর রাস্তায় বেরিয়ে আসেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তারা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং পার্লামেন্ট ভবনের উদ্দেশ্যে যেতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এর আগে রাজধানী কলোম্বোতে কারফিউ উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন হাজার হাজার উত্তেজিত বিক্ষোভকারী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে পুরো এলাকা। নিরাপদে আশ্রয় নেবার জন্য মানুষজনকে দৌড়াতে দেখা গেছে। এসব ঘটনা ঘটছে যখন শ্রীলঙ্কার বিরোধীদলগুলো একটি নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করেছে।
কয়েক মাস ধরে দেশটিতে ভয়াবহ জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও ঔষধ সঙ্কট চলছে। দেশটির ইতিহাসের সবচাইতে বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য সেখানকার জনগণ রাজাপাকসে পরিবার ও তাদের অধীনে পরিচালিত প্রশাসনকে দায়ী করে।
গোতাবায়া ইস্যুতে সরকারকে হুঁশিয়ারি মালদ্বীপ ন্যাশনাল পার্টির : জনরোষে দেশছাড়া শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এখন মালদ্বীপে। তবে সেখানে গিয়েও তিনি শান্তিতে নেই। তাকে দেশে ঢুকতে দেয়ায় ক্ষুব্ধ মালদ্বীপের রাজনৈতিক দল মালদ্বীপ ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি)। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ট করছে হ্যাশট্যাগ ‘গোগোটাহোম’।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমএনপি নেতা ও মালদ্বীপের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুনিয়া মওমুন বলেন, খুব দুর্ভাগ্যের বিষয় হল শ্রীলঙ্কার মানুষের আবেগের কথা মাথায় রাখেনি মালদ্বীপ সরকার। কেন্দ্র সরকারের ওই সিদ্ধান্তের জন্যে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে এমএনপি। উল্লেখ্য, গতকাল ভোরে স্ত্রী-সহ মালদ্বীপে পৌঁছে গিয়েছেন গোতাবায়া। দেশের ভয়ঙ্কর আর্থিক পরিস্থিতির জন্য তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে তার বাসভবনে। বাধ্য হয়েই গতকাল তিনি জানিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন।
মালদ্বীপ ন্যাশনাল পার্টির নেতা মওমুন বলেন, গোতাবায়া সরকারের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে বহু সিংহলি মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন। গোতাবায়াকে আশ্রয় দেয়ার তারা ক্ষুব্ধ। তারা এবার বিক্ষোভ দেখানোর তোড়জোড় করছেন। ইতোমধ্যে মালদ্বীপবাসী ও শ্রীলঙ্কার প্রবাসীরা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সালিহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করছেন। তাদের দাবি- শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে মালদ্বীপ থেকে বের করে দেয়া হোক।
কেন পদত্যাগ করতে এত সময় নিচ্ছেন গোতাবায়া? : ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে মালদ্বীপে পালিয়ে আসা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করবেন বলে গতকাল জানিয়েছেন। তার পদত্যাগ ছিল বিক্ষোভকারীদের প্রাথমিক দাবিগুলোর একটি, যারা দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতির দরিদ্র অবস্থার জন্য শক্তিশালী রাজাপাকসে গোষ্ঠীকে দায়ী করে।
কয়েক মাস ধরে শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীরা সরকার থেকে রাজাপাকসে পরিবারের সম্পূর্ণ ক্ষমতাচ্যুত করার দাবি জানিয়ে আসছে। গোতাবায়ার বড় ভাই মাহিন্দা যিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তার ছোট ভাই বাসিল যিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন তারাসহ অন্য সব রাজাপাকসে ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। গোতাবায়া, যদিও বিক্ষোভ উত্তপ্ত বিন্দুতে বাড়তে থাকা সত্ত্বেও পদটি খালি করতে অস্বীকার করেন। অবশেষে, গত সপ্তাহে, বিক্ষোভকারীরা বিষয়গুলো তাদের নিজের হাতে নিয়েছিল এবং ‘গোতা গো হোম’ সেøাগান দিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা চালায়।
অনুমান করা হয় যে, গোতাবায়া সরকারি বাসভবনটি ভাঙচুরের কয়েক ঘণ্টা আগে খালি করে উত্তর-পূর্ব বন্দর শহর ত্রিনকোমালিতে পালিয়ে যান। তিনি পরে স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্দেনাকে বলেছিলেন যে, তিনি অবশেষে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। এর চার দিন পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার কথা বলেন। কারণ যদিও অব্যক্ত, তবে বেশ স্পষ্ট। প্রেসিডেন্ট হিসাবে গোতাবায়া গ্রেফতার থেকে অনাক্রম্যতা উপভোগ করেছিলেন। অধিকন্তু, শ্রীলঙ্কায় সংবিধানের অধীনে প্রেসিডেন্টদের ক্ষমতাচ্যুত করা প্রায় অসম্ভব যদি না তারা নিজেরাই পদত্যাগ করেন।
কর্মকর্তাদের মতে, গোতাবায়া আশঙ্কা করেছিলেন যে, তিনি দেশে থাকাকালীন পদত্যাগ করলে তিনি অবিলম্বে গ্রেফতার হবেন। এভাবে গত কয়েকদিন ধরে অন্য কোনো দেশে পালিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে কলম্বো বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা শ্রীলঙ্কা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য গোতাবায়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছিল, যারা তার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প দিতে অস্বীকার করে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরে তিনি একটি নৌ টহল ক্রাফটের মাধ্যমে সমুদ্রপথে পালিয়ে যাওয়ার পথ সন্ধান করেন। গতকাল ভোরে প্রেসিডেন্ট অবশেষে একটি সামরিক বিমানে মালদ্বীপে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
একটি সরকারি সূত্র এবং রাজাপাকসের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ছিলেন। তিনি সম্ভবত সেখান থেকে এশিয়ার অন্য কোনো দেশে যাবেন বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে। বিমান বাহিনী এর আগে একটি বিবৃতিতে বলেছিল যে, তারা প্রেসিডেন্ট এবং তার স্ত্রীকে মালদ্বীপে ভ্রমণের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের সাথে একটি বিমান সরবরাহ করেছে, যা ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপপুঞ্জ যা একচেটিয়া পর্যটন রিসোর্টের জন্য পরিচিত। তারা বলেছে যে, সমস্ত অভিবাসন এবং শুল্ক আইন অনুসরণ করা হয়েছিল।
কিছু প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, গোতাবায়া মালদ্বীপে পালিয়ে যেতে পারেন। যদিও শ্রীলঙ্কায় ভারতের হাইকমিশন স্পষ্টভাবে এসব প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন এবং অনুমানমূলক’ বলে অস্বীকার করেছে। ‘এটি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে যে, ভারত শ্রীলঙ্কার জনগণকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে, কারণ তারা গণতান্ত্রিক উপায় এবং মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সাংবিধানিক কাঠামোর মাধ্যমে তাদের সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির আকাঙ্খা উপলব্ধি করতে চায়,’ ইন্ডিয়া মিশন টুইট করেছে।
রাজাপাকসের দেশ থেকে মালদ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মালদ্বীপের পার্লামেন্টের স্পিকার এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ আলোচনা করেছিলেন, সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় মিডিয়া এর আগে জানিয়েছিল যে, গোতাবায়া পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তার পরিবারের জন্য নিরাপদ প্রস্থান চান। এখন, গোতাবায়া আশরাফ গনির মতো পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, তিনি কখন পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং ‘চেক-মেটেড’ রাজাপাকসে পরিবারের কী পরিণত হয় তা দেখার বিষয়। সূত্র : বিবিসি বাংলা ও টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।