পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে অনেকেই এই ইট-পাথরের শহর ছেড়ে গেছেন গ্রামে। তবে কেউ কেউ নানা প্রয়োজনে থেকে গেছেন ঢাকায়। এ সময় ঢাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও ঈদুল আজহার ছুটিতে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় ছিল উপচেপড়া ভিড়। ঈদের ছুটি কাটাতে এসব বিনোদন কেন্দ্রে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে গিয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে অভিভাবকদের সঙ্গে ঘুরতে আসে শিশুরা। রাজধানীতে ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ছিল হাতিরঝিল, মিরপুর চিড়িয়াখানা। এ ছাড়া শ্যামলী শিশুমেলাসহ অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রে ছোটদের সঙ্গে আনন্দে মেতেছিলেন বড়রাও। প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে অনেক দর্শনার্থীকে। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়। চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কুয়াকাটা, কক্সবাজার, রংপুর, কুমিল্লা, বগুড়া, মানিকগঞ্জ, বাগেরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়সহ সারাদেশেই পর্যটকের আনাগোণা থাকলেও বন্যায় এখনো ডুবে আছে সিলেট-এমন ভুল বার্তায় সেখানকার পর্যটনে ধস নেমেছে। একই কারণে তেমন পর্যটক পায়নি সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। গতকাল বুধবার ঈদের চতুর্থ দিনে রাজধানীর হাতিরঝিলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। এখানকার প্রধান আকর্ষণ ছিল নৌভ্রমণ। ঝিলের এক ঘাট থেকে ভিক আরেক ঘাটে নৌকা (ওয়াটার বাস) ছেড়ে যাচ্ছে। খাটে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের সারি। তারাও ওয়াটার বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। হয়েছে সাধারণত ২০ থেকে ৩০ টাকায় সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াত করলেও ঈদের ছুটিতে হাতিরঝিলে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ মিনিটের নৌভ্রমণ ৮০ টাকা। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঘুরতে এসে সবার চোখে-মুখে আনন্দের ছাপ। এ সময় নিরাপত্তায় পুলিশ দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় সদস্যদের উপস্থিতিও চোখে পড়ে। তবে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা নৌভ্রমণের টিকিট না পেয়ে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
হাতিরঝিলের রেস্টুরেন্টগুলোতেও বেশ জমজমাট পরিবেশ দেখা গেছে। রেস্টুরেন্টকর্মীরা জানান, বিশেষ দিন হওয়ায় কাষ্টমার বেশি। হাতিরঝিলে হকারদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয় ভাসমান এসব বিক্রেতা জানান, ঈদে গ্রামে না গিয়ে পেটের দায়ে একটু বেশি উপার্জনের আশায় এখানে তাদের পণ্য বিক্রি করছেন।
ঈদের তিন দিনই হাজারো দর্শনাথী কিন্তু করেন মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায়। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা এসেছিলেন সেখানে। তবে তরুণ-তরুণীরাও বন্ধুবান্ধব মিলে ভিড় করেছিলেন। গতকাল সকাল থেকেই চিড়িয়াখানায় ছিল দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। সকাল ৯টা থেকে দর্শনার্থী প্রবেশ শু হলেও টিকিটের সারি আর ভেতরে প্রবেশের সারি যেন শেষই চাচ্ছিল না চিড়িয়াখানার ভেতরেও প্রতিটি প্রাণীর শেডের সামনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ঈদের চতুর্থ দিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন হয়েছে বলে জানা গেছে।
শ্যামলীর শিশুমেলা থিম পার্কেও প্রতিটি গতকাল মানুষের তীব্র ভিড় ছিল। হয় মাস বয়সী শিশু থেকে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধরাও এসেছিলেন। শিশুদের আনন্দ দেখে আনন্দ পাচ্ছিলেন তারাও। ঘরে থাকা শিশুরা একটু খেলাধুলা কিংবা খোলা জায়গায় বিনোদন পেলে কতটা মেতে ওঠে, তার দেখা মেলে শিশুমেলায়। এখানে শিশুদের জন্যে কেজি কার, মিনি ট্রেন, মোটর রাইড, ব্যাটারি কার, ওয়ান্ডার হুইল, মেরি গো রাউন্ড, হানি সুইং, প্যারাটুপার, বাম্পার কারসহ প্রায় ৩০টির মতো গেম রয়েছে। এর কোনোটিতে শিশুদের জন্য একা চড়ার নিয়ম রয়েছে। আবার কোনোটিতে শিশুদের নিরাপত্তার প্রয়োজনে অভিভাবকরাও চড়তে পারবেন। তেমন সক্ষমতা তৈরি করেই সেসব তৈরি করা হয়েছে তবে মেলায় প্রবেশের টিকিটমূলা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক। কারণ এ বছর জানুয়ারি পর্যন্ত শিশুমেলায় প্রবেশে টিকিটমূল্য ছিল জনপ্রতি ৬০ টাকা। তবে জানুয়ারির পর বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ১০০ টাকা। এ ছাড়া ভেতরে প্রতিটি গেমসের জন্য আলাদ ৫০ টাকা গুনতে হয়। ৩০টি খেলার প্রতিটি খেলায় যদি একটি শিশু চড়ে, তবে তার জন্য একজন অভিভাবককে শুনতে হবে দেড় হাজার টাকা। যদি তার সঙ্গে একাধিক বাচ্চা থাকে তা হলে টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।
চট্টগ্রাম : ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় দর্শনার্থীর ভিড় বেড়েছে। রীতিমতো দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে। গতকাল নগরী ও জেলার সবগুলো বিনোদন কেন্দ্রে ছিল উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ছিল লোকে লোকারণ্য। এছাড়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, নেভাল সমুদ্রসৈকত, আনোয়ারা পারকি সমুদ্রসৈকত, ফয়েস লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, কাজির দেউড়ি শিশুপার্ক, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশুপার্কে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। নগরীর প্রাণ কেন্দ্রে চান্দগাঁও এলাকায় অবস্থিত স্বাধীনতা পার্কে দর্শনার্থীর প্রচণ্ড ভিড়। দীর্ঘ লাইন ধরে দর্শনার্থীদের কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে দেখা গেছে।
কক্সবাজার : দেশের পর্যটনের প্রধান কেন্দ্র কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগমের চিরচেনা সেই রূপ এবার দেখা যায়নি। ঈদের দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতেলী পয়েন্টসহ বিভিন্ন পয়েন্টে এ ধরনের চিত্র দেখা গেছে। পর্যটকরা জানান, আগের মতো হোটেল-মোটেলগুলোতে বাড়তি ভাড়া ও রেস্টুরেন্টে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রবণতা নেই। ভিড় না থাকায় ইচ্ছামতো ঘোরাঘোরি করতেও কোনো বেগ পেতে হচ্ছে না তাদের।
গাজীপুর : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঈদের চতুর্থ দিনেও ছোট-বড় মিলে প্রায় ৪০টি বিনোদন কেন্দ্রে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। ছোট থেকে বৃদ্ধ-সব বয়সের মানুষ এসব জায়গায় ঘুরতে আসছেন। কালিয়াকৈর উপজেলার সোহাগ পল্লী রিসোর্ট, আনন্দ পার্ক, তুরাগ রির্সোট, রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট, শিল্প কুঞ্জ, গোলবাগিচা, শাহীন বাগিচা, ঢাকা রির্সোট, বিভিন্ন নদীর পারে ও বিলের ধারে গড়ে উঠা জলকুঠিরে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
রংপুর : রংপুরে ঈদুল আজহার পরের দিন তীব্র গরম উপেক্ষা করে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বিনোদন উদ্যানগুলোতে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে অভিভাবকদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যণীয়। মহানগরীর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানা, তাজহাট জমিদার বাড়ি ও জাদুঘর, চিকলি পার্ক, কালেক্টরেট সুরভি উদ্যান, টাউন হল চত্বরসহ সব স্থানেই দেখা গেছে মানুষের ঢল। একই চিত্র শহর থেকে একটু দূরের ভিন্নজগৎ, আনন্দনগর, মহিপুরঘাট, কাউনিয়া তিস্তা সড়ক সেতু পয়েন্টেও।
কুমিল্লা : ঈদ উপলক্ষে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর ভিড় দেখা গেছে। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে কুমিল্লার অর্ধ ডজন বিনোদন কেন্দ্রে এরকম ভিড় দেখা গেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘর, নব শালবন বিহার, ম্যাজিক প্যারাডাইস, ব্লু ওয়াটার পার্ক, ডাইনো পার্ক। এগুলো কোটবাড়ি লালমাই পাহাড় সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। লালমাই বাজার সংলগ্ন স্থানে রয়েছে লালমাই লেকল্যান্ড। নগরীর ডুলিপাড়ায় রয়েছে ফান ডাউন। নগরীর প্রাণ কেন্দ্রে রয়েছে কুমিল্লা নগর উদ্যান ও ধর্মসাগর।
বগুড়া : ঈদের ছুটিতে বগুড়ার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়, বেহুলার বাসরঘর, জাদুঘর, গোবিন্দ ভিটা, মমইন ইকোপার্ক, পৌর পার্ক, শহীদ খোকন পার্কসহ সারিয়াকান্দি যমুনা ও বাঙালি নদীকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঈদের চতুর্থ দিনও ছিল উল্লিখিত এলাকায় সাধারণ মানুষের ভিড়।
মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে বিনোদনের কোনো স্থান না থাকায় লোকজন ঈদের দিন থেকেই ভিড় করছেন বিভিন্ন সেতুতে। শহরের কালীগঙ্গা সেতু, বালিরটেক সেতু, তিল্লী সেতুসহ জেলার সব সেতুই এখন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিনোদনের জন্য জেলাবাসীর সেতুই ভরসা। সকাল থেকেই বিনোদন পিপাসুরা বিভিন্ন সেতুতে দাঁড়িয়ে নদীর পানির দৃশ্য অবলোকন করেন। দুপুরের পর থেকে সেতুগুলোতে বিনোদন পিপাসুরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। বিশেষ করে কালীগঙ্গা সেতুটি দর্শনার্থীদের চাপে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
বাগেরহাট : ঈদুল আজহার ছুটিতে বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা ষাটগম্বুজ মসজিদ, হযরত খানজাহান আলীর মাজার শরিফসহ ১৭টি প্রত্নতত্ত্ব এলাকায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। এ বছর সুন্দরবন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই রয়েছে বাগেরহাটের প্রাচীন ও ঐতিহ্যাসিক সব স্থানে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সপ্তাহজুড়ে জেলার ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় এসব স্থানে পর্যটকদের ভিড় থাকবে বলে জানিয়েছে বাগেরহাট প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। এ ছাড়া বাগেরহাটের চন্দ্রমহল, সুন্দরবন রিসোর্ট, পৌর পার্কসহ মুনিগঞ্জ ও দড়াটানা সেতু ও শরণখোলার বলেশ্বর নদী তীরে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মা-বাবার সঙ্গে আসা শিশুরা এসব বিনোদন কেন্দ্রের বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ উপভোগ করছে।
নীলফামারী : নীলফামারীর নীলসাগর, তিস্তা ব্যারেজ ও সৈয়দপুর উপজেলার থিমপার্ক, পাতাকুঁড়ি বিনোদন পার্ক ও রংধনু পার্কে রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলো দশনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত রয়েছে। শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য প্রতিটি পার্কে সুব্যবস্থা রেখেছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পঞ্চগড় : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে দেশের উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। তেঁতুলিয়ার নয়নাভিরাম ডাকবাংলোর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মহানন্দা নদীর পাড়ে ছুটি কাটানোর মহোৎসব চলছে যেন। মহানন্দা নদীর তীরে গড়ে ওঠা এ পর্যটন স্থানে ঈদুল আজহা উপলক্ষে হাজারো পর্যটক ছুটে আসছেন। প্রতিদিনই সকাল থেকে শুরু হয় পর্যটকদের আনাগোনা। বিকালে গোটা স্পট ভরে যায় লোকে। ঈদের আনন্দের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর সুখ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় এখানে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে।
সিলেটে সৌন্দর্য বাড়লেও পর্যটনে হোঁচট : বন্যা বিদায় নিয়েছে সিলেট থেকে। বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর যেসব নিম্নাঞ্চলে এখনো পানি আটকে আছে, সেগুলোও প্রতিদিন কমছে। বন্যার তাণ্ডব শেষে পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সৌন্দর্য আরো বেড়েছে। কিন্তু ভরা মৌসুমেও খাঁ খাঁ করছে হোটেল-মোটেলগুলো। তাদের বুকিং খাতার হিসাবে এবার ৫ শতাংশ পর্যটকও সিলেটে আসেনি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরে অল্পসংখ্যক দর্শনার্থী দেখা গেছে। ফলে চরম হতাশা ভর করেছে নৌকার মাঝি, আলোকচিত্রী থেকে শুরু করে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
শুধু সাদা পাথর নয়, দেশের একমাত্র জলাবন রাতারগুল, বিছানাকান্দি, প্রকৃতিকন্যা জাফলং, পাংতুমাই, মায়াবী ঝর্ণা থেকে শুরু করে সিলেটের চা বাগানগুলোতেও নেই পর্যটকদের আনাগোনা। এসব স্থানে অল্পসংখ্যক যেসব দর্শনার্থী ঘুরতে এসেছে তাদের ৮০ শতাংশই স্থানীয়।
বর্ষায় সেজেছে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। কিন্তু বাইরের জেলার পর্যটকদের দেখা নেই। অভিজাত হোটেলসহ শতাধিক হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজের বেশির ভাগই ফাঁকা। ঈদেও সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়াসহ হাওরাঞ্চলে পর্যটকদের ভিড় নেই। এ কারণে পর্যটকবাহী নৌকা, স্পিডবোট ও পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর হাতে কোনো কাজ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।