Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল

হোটেল মোটেল মালিক ও পর্যটক সেবীরা খুশি

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২২, ৭:৫৯ পিএম

কক্সবাজার সৈকত যেন আগের রূপে ফিরতে শরু করেছে।

ঈদুল আযহার ৩য় দিনে বুধবারে কক্সবাজার সৈকতে ছিল লাখো পর্যটকের ঢল। ঈদুল আজহার পরের দিন থেকে পর্যটক সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে কক্সবাজারে। বুধবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেখা গেছে লাখো পর্যটকের ঢল। পাশাপাশি বেড়ছে হোটেল মোটেলে বুকিং। এসময় বিদেশি অনেক পর্যটকদেরও দেখা গেছে সৈকতে। শুধু সমুদ্র সৈকত নয় কক্সবাজারের সব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে। ইনানী, হিমছড়ি, টেকনাফ, মহেশখালী ও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কেও পর্যটক সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে পর্যটকদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত এবং নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি বিভিন্ন
উদ্যোগ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, ঈদুল আযহার পরে কক্সবাজারে ব্যাপক হারে পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এসব পর্যটকদের যাতায়াত এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তারা নির্বিঘ্নে
ঘোরাফেরা করতে পারে মত জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি টুরিস্ট পুলিশ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নজরদারি সহ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের নির্বিঘ্নে কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য আহ্বান জানান।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস সমিতির নেতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, হোটেল গুলোতে বুকিং বেড়েছে। আগামীকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত পর্যটক সংখ্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য আহ্বান জানান। পাশাপাশি হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সহ পর্যটক সেবায় নিয়োজিত সবাইকে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, ডায়াবেটিক পয়েন্ট ও হিমছড়ি পয়েন্টে দেখাগেছে পর্যটকের ব্যাপক উপস্থিতি। দুপুরে সাগরে জেটস্কি, সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে এবং সাগরে গোসল করে আনন্দ নিতে দেখা গেছে শত শত পর্যটককে।
এসময় সুগন্ধা পয়েন্টে কথা হয় কয়েকজন পর্যটকের সাথে। তারা জানিয়েছেন ঈদের পরে কক্সবাজার এসেছেন তারা। ঈদের আগে এসে কক্সবাজার ঈদ
করার কথা থাকলেও কুরবানির পশু বেচা কেনা নিয়ে সময় হয়নি। তাই ঈদের পরে এসেছেন। এভাবে হাজারো পর্যটক এসেছেন। কয়েকজন পর্যটক জানান, কক্সবাজার এর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শহরের রাস্তা ঘাটের সংস্কার কাজও প্রায় শেষ। এতে তারা সাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।
এদিকে এই ব্যাপক পর্যটক উপস্থিতির কারণে হোটেল মোটে মালিক ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট সেবা সংগঠের কর্মীরা বেজায় খুশি। তারা মনে করছেন আগামী শনিবার পর্যন্ত ভালোই হবে তাদের ব্যবসা।
তবে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াতে কড়াকড়ির করণে নাখোশ বলে জানা গেছে পর্যটক ও পর্যটক সেবিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ