পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোরে ঈদের আগের দিন প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে কিশোরী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে ঢোল রফিকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে জেলার সিনিয়র বিচারিক হাকিম কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
গত সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করার পর বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে প্রয়োজনে মামলার তদন্তে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার শিকার ওই কিশোরী বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ঈদের দিনই কিশোরী মামলা করে। এজাহারে বলা হয়েছে, শহরের বউ বাজার এলাকার একটি কলেজে শিক্ষার্থী ওই কিশোরীর সঙ্গে একই এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে আকাশ (২০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। তারা গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় মেলায় ঘুরতে যায়। সেখান থেকে আকাশের ২ বন্ধু তাওসিন বিল্লাল ও আরাফাতকে সাথে নিয়ে রাতে যশোর বিমান অফিস মোড়ে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ওরফে ঢোল রফিকের দ্বিতল ভবনের অফিস কক্ষে মাদকের আড্ডাখানায় নিয়ে যায়।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সেখানে ঢোল রফিকের দেহরক্ষী পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার বছির আহম্মেদের ছেলে শহীদ (৪৩) মেয়েটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রথমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রাফাত ও অন্যান্যরা ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করে।
এরপর আকাশ, আরাফাত ও বিল্লাল মেয়েকে নিয়ে ফেরত দিতে গেলে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে কোতোয়ালি থানার টহল পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশের জেরার মুখে মেয়েটি পুলিশকে সব কথা খুলে বলে। এসময় তিনজন পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে টহল পুলিশ আটক করে। থানায় মামলা দায়ের করার পর ঈদের দিন দুপুরে আটককৃতদের তথ্যমতে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ওরফে ঢোল রফিককে কাঁঠালতলা থেকে আটক করে টহল পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।