Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিঙ্গাইর পৌরসভার ড্রেনগুলো যেন ময়লার ভাগাড়

সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে ডিএম রিয়াজুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌরসভাটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মোট ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ৩০ হাজার ভোটার রয়েছে। এ পৌরসভাটিতে ২০০৬ সালে জিওবি ও এমএসপি’র অর্থায়নে ১.৩৫ কিলোমিটার এলাকায় ১১শ মিটার পৌর এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য পাকা ড্রেন নির্মাণ করা হয়।
অপরিকল্পিতভাবে নিম্নমানের ইট খোয়া ও বালু দিয়ে যা কিনা ওই সময়ই স্থানীয় জনগনের বাধাকে উপেক্ষা করে তৈরি হয়। তাও বেশিরভাগ জায়গায় নেই কোন ঢাকনা বা স্লাব। তাতে করে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্তমানে এ ড্রেনগুলো যেনো মৃত্যুকুপ ও ময়লার ভাগারে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে ড্রেনগুলোর যে পরিস্থিতি একে তো নোংরা, পঁচা পানির গন্ধ আর মশা তৈরির কারখানায় পরিনত হয়েছে।
পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লা ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার মূল ফটকের অদূরে, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় ও উপজেলা মূল ফটকের সামনের অবস্থাই বেশি নাজুক। এ সড়কটি হচ্ছে বাসস্ট্যান্ড হতে বাজার পর্যন্ত। যা কিনা শহীদ রফিক স্মরনী নামে পরিচিত। পৌর এলাকার জনগনের প্রত্যাশা যত দ্রুত সম্ভব এ ড্রেনটি যেনো দ্রুত সংস্কারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করেন।
অপরদিকে, পৌর এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য ৪ ফুট প্রস্থের সাড়ে ৬ কিলোমিটার যার ব্যয় ৮ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা মেসার্স জেবি এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০ মে ২০২০ কার্যাদেশ পেয়ে কাজটি শুরু করে ১৮ মাসের মধ্যে সমাপ্ত করার লক্ষ্যে। যথা সময়ে কাজটি সম্পূর্ণ না হওয়ায় রাস্তা খুরাখুড়ির কারণে বেকায়দায় পড়েছে পৌর এলাকার বাসিন্দারা। এ খুরাখুড়ির কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বয়বৃদ্ধরা হরহামেশাই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ড্রেনের কাজটি শুরু থেকেই চলছে কচ্ছপ গতিতে। এ অভিমত ব্যাক্ত করেন, একাধিক মহল্লাবাসী ও পৌর এলাকার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম, রিপন মিয়া, মো. শহিদুল হক খানসহ অনেকে। জনগনের দাবী এ নুতনটি ড্রেনটি যেনো দ্রুত নির্মানের
তাগিদ দেন উপর মহল।
এ ব্যাপারে মেসার্স জেবি এন্টারপ্রাইজের পার্টনার মো. বিপ্লব জানান, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও পারিপাশির্^ককারণে কাজটি যথাসময়ে সম্পন্ন করতে পারিনি। তিনি রিপোর্টটি না করার জন্যঅনুরোধ করেন।
অন্যদিকে, মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ১৩ কোটি টাকার ড্রেন, কালভার্ট, আরসিসি রাস্তা, খাল খনন, ইউনি ব্লক, পাইপ ড্রেন নির্মানের কাজ। এ সকল রাস্তা খুরাখুরির ফলে পৌর এলাকার বাসিন্দাদের চলাফেরা যেনো দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এ ব্যপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজের পার্টনার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যা বা যেকোন প্রাকৃতি দুর্যোগ না হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই আমাদের সমস্ত কাজ শেষ করব।
এ ব্যাপারে সিংগাইর পৌরসভার প্রকৌশলী আ. মান্নান খান বলেন, পুরাতন ড্রেন নতুন করা হবে বলে এটি পরিস্কার করা হচ্ছে না। অপরদিকে নতুন রাস্তা ও ড্রেনের কাজ ধীর গতিতে চলছে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে।
পৌর মেয়র আবু নঈম মো. বাশার বলেন, পুরাতন ড্রেনগুলো টেন্ডার হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ