Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকান্ড, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার আরও ৩

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০২২, ৮:৪৯ পিএম

দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে ছাত্রলীগ নেতা মো. হাসিবুল বাশার (২৫) হত্যাকান্ডের ঘটনার প্রধান আসামি মো. হাসানসহ আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি, দু’টি কিরিজ ও একটি লোহার রড জব্দ করা হয়। ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এরআগে রোববার দিবাগত রাতে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বারাহি গোবিন্দ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, মহবুল্লাহপুর গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে হাসান (৩১), হাসানের ভাতিজা ও মিন্টুর ছেলে জয় (২১) এবং তিতাহাজেরা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে রুবেল (৩৪)।

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত ৩জন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময় দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে। নিজেদের মধ্যে দলীয় আধিপত্য ও কোন্দলের জেরে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাশারকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি কুপিয়ে এবং জবাই করে হত্যা করে। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে তারা তাদের সোর্স রুবেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে হাসিবুল বাশারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এবং ঘটনার দিন রুবেলের তথ্যের ভিত্তিতে হাসিবুলের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।

এসপি আরও জানান, হত্যাকান্ডের পর হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী গজারিয়া খালে পেলে দেয় তারা। গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকালে ওই খাল থেকে দুটি কিরিজ ও একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়। পরে হাসানের মালিকানাধিন একটি প্রজেক্ট থেকে একটি এলজি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এনিয়ে ঘটনায় ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

প্রসঙ্গত, গত ৭জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গোপালপুর ১নং ওয়ার্ড কোটরা মোহাব্বতপুর গ্রামের জোড়া পোল এলাকায় হাসানের নেতৃত্বে মাসুম, মিন্টু, জয়, জাহিদ’সহ কয়েকজন অস্ত্রধারি হাসিবুলের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসিবুলকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় নিহতের চাচা সিরাজ মিয়া বাদি হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০-১৫জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ