বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাতিয়া উপজেলায় চুরির অপবাদ দিয়ে রিয়াদ উদ্দিন শাকিল নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। ১মিনিট ২৪ সেকেন্ডের নির্যাতনের সেই ভিডিওটি ইতিমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগ নেতার দাবি নির্যাতনকারীদের মধ্যে একজনের বোনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্কের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।
সোমবার দুপুরে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে আসে। রোববার রাতে নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নুরুল আমিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। এরআগে ইদের আগের দিন শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাতিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত নুরুল আমিন হাতিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী শাকিলও একই এলাকার বাসিন্দা এবং হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও তার নিজের নিশ্চিত করে শাকিল বলেন, তার সাথে হাতিয়া দ্বীপ কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে একই এলাকার শরিফের ছোট বোন। তার সুবাধে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বিষয়টি নিয়ে শরিফ তাকে একাধিকবার হত্যার হুমকি দেয়। তারই সূত্র ধরে গত শনিবার রাতে স্থানীয় ওছখালি বাজারে বাবার দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে শরিফের ৫-৬জন লোক তাকে চোখ বেধে তুলে নিয়ে যায়। পরে নির্জন স্থানের একটি বাগানে গাছের সঙ্গে বেধে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তারা আমাকে চুরির অপবাদ দেয় এবং ঘটনাটি কারও কাছে বললে তারা তার বোনকে হত্যা করে তাকে আমাকে ফাঁসিয়ে দিবে বলেও হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চিৎকার দিলে এলাকার অনেক লোক ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায় এবং পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।
হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় রোববার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৮-১০জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ইতিমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত নুরুল আমিন মামলার প্রধান আসামী ও নির্যাতনকারী শরিফের বাবা। ঘটনায় জড়িতদের সকলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।