Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহাসড়কে যানজটসহ নানা বিড়ম্বনায় ঘরমুখি জনস্রোতে আবার কিছুটা চাঙ্গা দক্ষিণাঞ্চলের নৌ পরিবহন সেক্টর

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২২, ৮:৫৭ পিএম

ঈদ উল আজহায় ঘরমুখি জনস্রোতে আবার কিছুটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ পরিবহন সেক্টর। বৃহস্পতিবার ঈদের আগে শেষ কর্ম দিবসে অফিস ছুটির পরে রাতেই ঢাকা থেকে প্রায় ৫০টি নৌযান দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী বোঝাই করে যাত্রা করে। এরমধ্যে বেশীরভাগই নৌযানেই ছিল ধারনক্ষমতার দ্বিগুনেরও বেশী যাত্রী। বরিশালমুখি নৌযানগুলো শুক্রবার রাতের প্রথম প্রহরে এ বন্দরে যাত্রীদের নামিয়ে শেষ রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দুপুরের পর পরই এসব নৌযান ঢাকায় পৌছে শুক্রবার সন্ধার আগে পরে পুনরায় যাত্রী বোঝাই করে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি শুক্রবার সকালেই য়অকা থেকআেরো কয়েকটি নৌযান ছেড়ে দুপুরে বরিশালে পৌছে যাত্রী নামিয়েদিয়ে পুনরার ঢাকায় রওয়অনা হয়ে গেছে। পদ্মাসেতু চালু হবার পরে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ পরিবহন সেক্টরে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছিল, ঈদকে কেন্দ্র করে তা কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন নৌযান মালিকগন।
বিগত দু বছর করোনা সংকটে দক্ষিণাঞ্চলে ঘরমুখি যাত্রীর সংকট ছিল। সে পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার মধ্যেই পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় নৌ বানিজ্যে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে এসেছে বলে দাবী করেছেন নৌযান মালিকগন। তবে এবারো অন্তত দশ লাখ মানুষ আপনজনদের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করছেন। অন্যান্য বছর প্রায় ৮০ ভাগ ঘরমুখি মানুষ নৌপথে যাতায়াত করলেও পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় নৌপথ ছেড়ে একটি বড় অংশই সড়ক মুখি হয়েছে।
একাধিক নৌযান মালিক জানিয়েছেন, শণিবার রাতের প্রথম প্রহরে বেশীরভাগ নৌযান বরিশালে যাত্রী নামিয়ে পুনরায় ঢাকায় ফিরে যাবে ঘরমুখি বাড়তি যাত্রী আনতে। তাদের মতে, শণিবার সকাল পর্যন্ত অনেক গার্মেন্টস খোলা থাকবে। উপরন্তু শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অনেক গার্মেন্টেসই বেতন বোনাস না হওয়ায় শণিবারে শ্রমিকরা টাকা হাতে পেয়ে বিকেলে ঘরমুখি যাত্রা শুরু করবেন। এসব বিবেচনায় নৌযান মালিকগন ঈদের আগের দিন, শণিবার সন্ধা পর্যন্ত ঢাকা থেকে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি রুটে প্রতিদিনই ডবল ট্রিপে যাত্রী পরিবহন করবে। এভাবে গত ১৫ দিনের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছেন নৌযান মালিকগন। কর্মস্থলমুখি বাড়তি যাত্রী পরিবহনে ঈদের পরের এক সপ্তাহ ‘যথেষ্ঠ ভাল’ এবং পরের সপ্তাহেও নৌ পরিাবহন ব্যাবসা ‘কিছুটা ভাল’ থাকবে বলে আশা করছেন বেসরকারী নৌযান মালিকগন।
তবে ঈদকে কেন্দ্র করে অন্যান্য বছর বেসরকারী নৌযানে ভাড়া বৃদ্ধির যে প্রবনতা লক্ষ্য করা যেত, এবার তা কিছুটা অনুপস্থিত। পাশাপাশি যাত্রীদের সাথে নৌযান কর্মীদের আচরনেরও এবার কিছুটা পরিবর্তন লক্ষণীয়। নৌযানের মালিক ও কর্মচারীরা যাত্রীদের আবার নৌপথ মুখি করতে সম্ভব সব কিছু করছে এবং করবে বলেও জানিয়েছেন একাধীক নৌযান মালিক।
এদিকে ঈদেকে সামনে রেখে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলমুখি জনশ্রোত অব্যাহত থাকার মধ্যেই ভাংগায় এক্সপ্রেসওয়ে শেষ হবার পরেই বরিশাল পর্যন্ত ৯৫ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক যানযটে যাত্রীরা চরমভাবে নাকাল হচ্ছেন। ৬০ বছরের পুরনো ও মেয়াউত্তীর্ণ অপ্রসস্ত মহাসড়কটির বিভিন্নস্থানে বাজার ও দোকানপাটের সাথে নানা অবৈধ যানবাহনের ভীড়ে দিনরাত যানযট লেগেই আছে। ফলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ভাংগা অতিক্রমের পরেই যানবাহনের গতি ধীর হয়ে যাচ্ছে। ফলে ঢাকা থেকে মাত্র ১৬৫ কিলোমিটার দুরের বরিশালে পৌছতেই এখন ৫ ঘন্টাও লেগে যাচ্ছে। দক্ষিনাঞ্চলের অন্যন্য গন্তব্য আরো দুরে।
এসব কারণেও ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক ঘরমুখি মানুষ এখনো নৌপথকেই বেছে নিচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ