Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীতে কুরবানির পশুর মূল্য চওড়া, ন্যায্য দাম পাচ্ছেনা বিক্রেতারাও

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২২, ৮:৫৯ পিএম

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নোয়াখালীতে শুরু হয়েছে পশুরহাট। জেলার ১১০টি পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও পশুর মূল্য নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে সেইভাবে বিক্রি হচ্ছে না কুরবানির পশু। নিজেদের চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত মূল্য চাওয়ায় পশু না ক্রয় করে বাড়ি ফিরছেন অনেক ক্রেতা। তবে খামারিদের দাবী সাম্প্রতিক সময়ে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়া পশু লালনপালনে তাদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। যার ফলে গত কয়েকবারের তুলনায় চলতি ঈদে পশুর দাম কিছুটা বেশি চাওয়া হচ্ছে। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে প্রায় ৯০হাজার পরিবারের কুরবানি চাহিদার বিপরীতে ৬হাজার ৫শত খামারে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১লাখ ৩৯হাজার পশু। পশুরহাটের নিরাপত্তা প্রশাসন এবং চিকিৎসা সহায়তার জন্য ১১০টি ভেটেনারী মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর।

আগামী উদযাপন করা হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন নোয়াখালীর খামার মালিক-কর্মচারী, গৃহস্থলে গবাদি পশু পালনকারী এবং ক্রেতারা। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পশু তুলছেন খামারিরা। বাজারে ক্রেতার ভীড় থাকলেও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় তেমন একটা ক্রয়-বিক্রি হচ্ছেনা বলছেন খামারিরা। করোনা মহামারীর কারণে গত ২বছর ব্যবসা ভালো হয়নি। বর্তমান সময়ে বাজারে গো-খাদ্যের দাম বাড়তি থাকা, খামারে কর্মরত শ্রমিকদের বাড়তি মজুরি দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে পশু লালন-পালনে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। খরচ হিসেব করে এবার কুরবানি পশুর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে পশু বিক্রি করতে না পারলে এবারও লোকসান গুনতে তবে বলে শঙ্কা করছেন খামারিরা।

তবে ক্রেতারা বলছেন নিজেদের সামর্থ্যের ছেয়ে মূল্য বেশি হওয়ায় বাজার থেকে বাজারে ঘুরে এখনও নিজেদের পছন্দের কুরবানি পশু ক্রয় করতে পারেন নি তারা। শেষ সময়ে এসে দাম কমতে পারে এমন প্রত্যাশা তাদের।

জেলার ৬ হাজার ৫ শতটি খামারের পর্যাপ্ত কুরবানি পশু থাকায় স্থানীয়ভাবে বাজারে পশুর ব্যাপক যোগান রয়েছে। যার ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পশুর জন্য ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হয় না। চাহিদার তুলনায় প্রায় সোয়া লক্ষাধিক হাজার কুরবানি পশু অতিরিক্ত প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যা পার্শ্ববর্তী জেলায় নিয়ে ভালো মূল্যে বিক্রি করা যাবে। পশুরহাটগুলো প্রশাসন ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মনিটরিং এ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ