Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বেহাল পৌর সড়কে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভার সড়কগুলো সংস্কার না করায় বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে নিয়মিত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালে স্থাপিত পাংশা পৌরসভা ২০১১ সালে দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নীত হয়। ১৯৯০ সালের ৫ মে থেকে শুরু করে ১৯৯৩ সালের ২৯ মার্চ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মোট পাঁচটি নির্বাচনের মধ্যে আওয়ামী লীগসমর্থিত প্রার্থী তিনবার ও বিএনপিসমর্থিত প্রার্থী দুইবার করে নির্বাচিত হয়েছেন। পৌরসভায় সরকারি কলেজ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রেলস্টেশনসহ রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। পৌরসভার প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা যায়, পৌরসভায় মোট ৩৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। একযুগেরও বেশি সময় আগে রাস্তাগুলো তৈরি করা হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নসহ কালুখালী উপজেলা, কুষ্টিয়া ও পাবনা অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ এসব সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এসব রাস্তার কমপক্ষে সাত বছর ধরে সংস্কার করা হয় না। কোনো কোনো রাস্তা আরো বেশি সময় ধরে সংস্কার করা হয় না। এতে করে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। আবার বরাদ্দ না পাওয়ায় রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। সরেজমিনে দেখা যায়, রেলস্টেশন থেকে কালিবাড়ি মোড়, রেলস্টেশন থেকে খাদ্যগুদাম ভায়া টেম্পোস্ট্যান্ড, কালিবাড়ি মোড় থেকে উপজেলা মোড়, টেম্পোস্ট্যান্ড থেকে থানা মোড়, টেম্পোস্ট্যান্ড থেকে পাংশা সরকারি কলেজ মোড়, রেজিস্ট্রি অফিস থেকে পাংশা সরকারি কলেজ, দত্তপাড়া থেকে পাংশা কলেজ মোড়, সরদার বাসস্ট্র্যান্ড থেকে রেলস্টেশন, থানা মোড় থেকে দরগা তলা সড়কের বেহাল দশা। এরমধ্যে রেলস্টেশন থেকে কালিবাড়ি মোড় পর্যন্ত সবচেয়ে জনবহুল সড়ক। এই সড়কের মাঝামাঝি স্থানে সাদী প্লাজার সামনে সারাবছর হাঁটু পানি জমে থাকে। এতে করে পানির দুইপাশের রাস্তায় কাদা জমে থাকে। অপর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কালিবাড়ি মোড় থেকে উপজেলা পরিষদ। এর বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। রাবিস দিয়ে খানাখন্দ ভরাট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দ। এতে করে তৈরি হচ্ছে যানজট। মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। ইজিবাইক চালক আবদুস ছালাম ম-ল জানান, রাস্তার মধ্যে পানি জমে থাকে। এতে আবার তৈরি হয়েছে গর্ত। ফলে মাঝেমধ্যেই যাত্রীরা বেকায়দায় পড়ে যান। তখন তাদের গালাগাল শুনতে হয়। মনে তখন খুব কষ্ট হয়। ট্রাকচালক মুজাহিদুল ইসলাম খান জানান, রাস্তার গর্তে ট্রাকের চাকা ফেঁসে গেলে তৈরি হয় যানজট। তখন দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকে না। রাস্তাটি অল্পসময়ের মধ্যে সংস্কার করা দরকার। কলেজছাত্র আজম হোসেন বলেন, পৌরসভার মধ্যে সড়কে পানি জমে থাকা এবং বড় বড় গর্তের বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না। এ বিষয়ে পৌরসভার কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত। তা না হলে রাস্তা সংস্কারের জন্য আন্দোলনে নামতে হবে। ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী আজিবর রহমান জানান, পৌরসভায় প্রতি বছর মোট ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। রাস্তার উন্নয়নের জন্য এই বরাদ্দের ২৫ শতাংশ টাকা ব্যয় করা হয়। এত অল্প টাকা দিয়ে কোনো কাজই করা যায় না। রাস্তা-ঘাট সংস্কার করার জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় করতে হবে। কিন্তু চার-পাঁচ বছর ধরে কোনো প্রকল্প আসছে না। পৌর মেয়র আবদুল আল মাসুদ বিশ্বাস বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য বিভিন্ন দফতরে চেষ্টা তদবির করছি। কিন্তু কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় রাস্তাঘাটের কোনো উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। এতে করে প্রতিদিন সাধারণ মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ