বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদুল আজহার বাকি মাত্র পাঁচ দিন। এরই মধ্যে খুলনাঞ্চলের মসলার বাজারে যেন আগুন ধরেছে। প্রতিটি মসলার দাম কেজিতে ২০ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ডলারের দাম বেড়েছে। বেশির ভাগ মসলাই আমদানি নির্ভর। তাই ডলারের দাম বৃদ্ধিতে মসলার দাম পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে। তবে ক্রেতারা এ যুক্তি মানতে নারাজ। ক্রেতারা বলছেন, ডলারের দাম বেড়েছে ঠিকই কিন্তু যেটুকু বেড়েছে, বেশি মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা তার কয়েক গুণ দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সরকারের বাজার মনিটরিং দুর্বল হওয়ায় বাজার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
খুলনার কয়েকটি বাজার ঘুড়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি জিরা ৪৫০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। একইভাবে লবঙ্গ ১ হাজার ৩০০ টাকা, মানভেদে এলাচ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা, কাজু বাদাম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ২ হাজার ৫০০ টাকা, গোল মরিচ ৮০০ টাকা ও কিসমিস ৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন। অথচ ১৫ দিন আগে প্রতি কেজি জিরা ৪২০ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। লবঙ্গ ১ হাজার ১০০ টাকা, এলাচ মানভেদে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা, কাজু বাদাম ৮০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ২ হাজার টাকা, গোল মরিচ ৬০০ টাকা ও কিসমিস ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
নগরের বড় বাজারের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, গরম মসলার সকল পণ্য দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। রোজার ঈদের পর থেকেই এর বাজার চড়া হতে শুরু করেছে। এরপর ডলারের বিপরীতে দেশিয় টাকার মান কমে যাওয়ায় মসলার দাম বেড়েছে। তাই এসব মসলার দাম কেজিতে ২০ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
একই বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সমীর কুন্ডু জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে জাহাজের বুকিং কমে যাওয়ায় পণ্যের আমদানি কমে গেছে। বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম এর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এ সকল পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের এ দরে কিনে এ দরে বিক্রি করতে হয়।
নগরীর দৌলতপুর বাজারের খুচরা বিক্রেতা আলম হাওলাদার জানান, তেল, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। আর কোরবানির ঈদ আসলেই বেড়ে যায় মসলার দাম, এবারও বেড়েছে।
বাজারে মসলা কিনতে আসা বেসরকারি চাকুরীজীবি আইনুল হক ক্ষোভের সাথে জানান, দিন দিন সব কিছুর দাম বাড়ছে। বাজারের উপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ডলারের দাম বেড়েছে, এই কথা বলে ব্যবসায়ীরা সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আসলে বেশি মুনাফা করার জন্য ব্যবসায়ীদের এটি একটি ছল। তিনি সরকারের প্রতি ঈদের আগে বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান।
অন্যদিকে, দৌলতপুর বাজারে আসা আব্দুল করিম হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, সারা বছর না পারলেও ঈদ এলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু ভাল খাওয়ার চেষ্টা করি। এই ঈদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোশত সংগ্রহ করব। পাড়ার এক অবস্থাপন্ন ব্যক্তি সামান্য কিছু টাকা দিয়েছেন ঈদের জন্য। বাজারে এসে দেখছি গোশত রান্না করার সব মসলার দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাই অল্প করে কিনছি। তিনি মনে করেন, কারণ ছাড়াই বিক্রেতারা মসলার দাম বাড়িয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।