বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহ তারাকান্দায় অটোচালক সামাদ হত্যাকান্ডের পিছনে রয়েছে প্রেমঘটিত ব্যাপার।অটোচালক সামাদ হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং তারাকান্দা থানা পুলিশের সদস্যরা ।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রবিন মিয়া এবং রোহান মিয়া জানিয়েছেন তাদের ছোট বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারণেই হত্যা করা হয়েছে সামাদকে। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের অভিযানে তারাকান্দা থানা পুলিশের সহায়তায় তারাকান্দা উপজেলা ও ফুলপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে থানা সূত্র।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, তারাকান্দা দাদরা এলাকার আলাল উদ্দিন পুত্র মোঃ রবিন মিয়া (১৯) ও মোঃ রোহান মিয়া (২৪), হাটপাড়া এলাকার শাহজাহান উদ্দিনের পুত্র মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম (১৯) , পুঙ্গুয়াই দক্ষিনপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের পুত্র মোঃ শাহীনুর ইসলাম (২২)।অপরাপর এক আসামী পলাতক রয়েছে।
বুধবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আটককৃত মোঃ রবিন মিয়ার সাথে নিহত সামাদ এর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। বন্ধুত্বের সুবাদে সামাদ রবিনদের বাড়ীতে যাতায়াত করত। এর সুবাদে রবিন ও রোহানের ছোট বোন এর সাথে সামাদ এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সামাদ ও ছোট বোনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক কোনো ভাবে ফেরাতে না পেরে আসামি রবিন ও রোহান দুই ভাই মিলে সামাদ কে হত্যার পরিকল্পনা করে।
সোমবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় সামাদ এর অটোরিক্সায় চড়ে আসামি রবিন, রোহান ও নাঈম বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করে সময়ক্ষেপন করে। পূর্ব পরিকল্পনা মতে আসামি শাহীন ও পলাতক ২ জন আসামি পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অপেক্ষা করে। সামাদের অটোরিক্সায় চড়ে রাত আনুমানিক ৮ টায় রবিন, রোহান ও নাঈম স্কুলের নিকট পৌঁছালে আসামিরা অটোরিক্সাটিকে রাস্তার পাশে রেখে সামাদ কে স্কুলের পিছনে ঝোঁপঝাড়ের আড়ালে নিয়ে গিয়ে প্লাষ্টিকের রশি ও জালের টুকরা দিয়ে গলায় পেচিয়ে ও নাক, মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর সামাদের লাশ পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপ্টি ট্যাংকির মধ্যে গুম করে আসামিরা পালিয়ে যায়।এ সময় তিনি আরও জানান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বেলা ১১.৩০ টায় ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানাধীন কাকনী ইউনিয়নের দাদরা গ্রামের পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপ্টি ট্যাংকিতে অজ্ঞাতনামা ১৫ বছর বয়সের একজন তরুনের লাশ পাওয়া যায়। তারাকান্দা থানা পুলিশ সেণ্টি ট্যাংক হতে লাশ উত্তোলন করে। স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে লাশের পরিচয় উদ্ঘাটিত হলে জানা যায় লাশটি কাকনী ইউনিয়নের দাদরা চানুর মোড় এলাকায় শাহজাহান মিয়ার পুত্র সামাদের। মৃত সামাদ একজন অটোরিক্সা চালক । সংবাদ পেয়ে সামাদের পিতা-মাতা ও পরিবারের লোকজন এসে লাশ সনাক্ত করে। তারাকান্দা থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে। মৃত সামাদ (১৫) এর পিতা-মোঃ শাহজাহান মিয়া অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিলে তারাকান্দা থানার মামলা নং-০৪, তারিখ-০৫/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।