বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৫ জুন) দুপুরে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডিশনাল এসপি আহমাদ মাঈনুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ধৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ। সোমবার (৪ জুন) বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মোঃ রিয়াজ হাওলাদার(৩৫),অরুন দাস(৩৫),মোঃ ইসমাইল গাজী(৫৫) ও তার ভগ্নীপতি হেমায়েত সিকদার ওরফে মিলন(৪৭)। এছাড়াও ডাকাতিকালে লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কার কেনার অভিযোগে বাউফল উপজেলা চত্বরে জুয়েলার্স ব্যবসায়ী গৌতম কর্মকার ও মনোজ কর্মকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত রিয়াজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছয়টি, ইসমাইলের বিরুদ্ধে চারটি এবং অরুন দাসের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি থানায় ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়াও হেমায়েত ডাকাতি মামলা ৭ বছর সাজা খেটে সদ্য জেল থেকে বেড় হয়েছে জানান পুলিশ। বাউফল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আটককৃতদের বাড়ী বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। অভিযানকালে ইসমাইল গাজীর বসতঘর থেকে ১টি বাংলা দা, ১টি গ্রীল কাটার, ১টি ছোরা, ১টি সাবল,২টি ছুরি,২টি ফোরপিন,১টি হাতুরি উদ্ধার করা হয়। তবে লুটে নেয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনার বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বলেন-গত ৩০ জুন গভীর রাতে বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রুহুল আমিন সিকদার বসতঘরের গ্রীল কেটে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা,১৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং কাপর চোপর সহ প্রায় ১৩ লাখ টাকা সম্পদ নিয়ে যায়। এঘটনায় ৩ জুন বাউফল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন রুহুল আমিন। ওই রাতে ডাকাত দল ঘরে রক্ষিত ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস নিয়ে যায় এবং ঘরের মেঝেতে বসে আম-দুধ দিয়ে ভাত মেখে খেয়ে বাসা ত্যাগ করে। ডাকাত চলে গেলে রুহুল আমিনের ছেলে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইমন কৌশলে তার বাবার হাতের বাঁধন খুলে দিলে সকলে বাধন মুক্ত হয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করে। পরদিন গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।