Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দেড় বছর পর রহস্য উদ্ঘাটন

ছেলের আঘাতেই বাবা নিহত

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দেওভোগ দক্ষিণপাড়া এলাকার ক্লুলেস হযরত আলী হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইল। হত্যাকাণ্ডে জড়িত হযরত আলীর নাতি আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ পিবিআই। পিবিআই জানায়, জায়গা জমির ভাগ বাটোয়ার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাপ-ছেলের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরেই হত্যাকাণ্ড।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় হযরত আলী ও তার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর এবং নাতি আসিফ কুমুল্লির বিলে নিজেদের জায়গায় পানি সেচে মাছ ধরতে যায়। সেখান থেকেই নিখোঁজ হন হযরত আলী। গত বছর ২০২১ সালের ৩ মার্চ সকালে বাদীর চাচাতো ভাই মোস্তফা ঘটনাস্থলের পাশের ইরি ক্ষেতে সার দিতে গিয়ে দুর্গন্ধ পায়। অতপর ক্ষেতের পাশে পুকুরে কচুরী পানার মধ্যে একটি লাশ দেখতে পান। এসময় তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। পরে বাদী মো. সুজন মোল্লা তার পিতার লাশ সনাক্ত করেন। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাতনামা একটি হত্যা মামলা করা হয়। পরে মামলাটি পিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে। পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিনের দিক নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার আশরাফুল কবির ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল অভিযান পরিচালনা করে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি এলাকা থেকে মো. আসিফকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া আসিফ জানায়, হযরত আলী, সে ও তার মামা জাহাঙ্গীর মোল্লা ঘটনার রাতে মাছ ধরতে যায়। পরে জাহাঙ্গীর পিছন থেকে তার বাবা ডিসিস্ট হযরত আলীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এসময় আসিফকে তার মামা জাহাঙ্গীর হত্যার বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে এবং লাশ গুম করার জন্য সহযোগিতা করতে বলে।
লাশ গুম করতে যদি সহযোগীতা না করে তাহলে তাকেও হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর। পরে আফিস ও তার মামা হযরত আলীর লাশ পুকুরের এক পাশে কচুরি পানা দিয়ে ঢেকে রাখে এবং ডিসিস্টের রক্ত পানি ও কাঁদা দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখে। পরে তারা বাড়ি চলে যায়। পিবিআই আরো জানায়, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ডিসিস্টের বড় ছেলে আসামি জাহাঙ্গীর মোল্লা কারাগারে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ