রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে শতবর্ষী মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছ অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যশোর ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি বাজারে গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাগরিক আন্দোলন যশোর ও সেবা সংগঠনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন করা অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক সংগঠন সেবার সভাপতি আশরাফুল জামান বাবুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে ১২টি সামাজিক সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী-স্থানীয়রাও অংশগ্রহণ নেয়। মানবন্ধনে বক্তরা বলেন, যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক পাশে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলোর কারণে এ রাস্তায় আমদানি-রফতানি ব্যহত হচ্ছে। যার কারণে সরকার রাজস্ব হারাতে বসেছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রত্যেক দিন হাজার হাজার ট্রাক এই পথে চলাচল করে অথচ ঝুঁকিপূর্ণ গাছের জন্য তাদের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে এবং একই সাথে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই সড়কটি সম্প্রসারণ করা না হলে যশোর অঞ্চল ব্যবসায় প্রসার ঘটবে না। সেইসাথে পদ্মা সেতুর পূর্নাঙ্গ সুবিধা ভোগ করতে পারবে না এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ গাছের কারণে ইতোমধ্যে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে অনেকে। এ কারণে অবিলম্বে এসব গাছ অপসারণ করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় আসামিতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয় মানববন্ধন থেকে।
যশোর নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুদুজ্জামান মিঠু বলেন, যশোর বেনাপোল মহাসড়কের মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো এখন জীবনের জন্য হুমকি। এগুলো দ্রুত অপসারণ করা প্রয়োজন। এই মহাসড়ককে দ্রুত চার থেকে ছয় লেনে উন্নীত করতে হবে। পেট্রাপোল থেকে ভারতের বনগাঁয় ছয় লেনের সড়ক নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। যেখানে প্রয়োজন হয়েছে তারা গাছ কেটে সড়ক নির্মাণ করেছে। সর্বশেষ গত ১০ জুন ভারতের পেট্রাপোল থেকে যশোর রোডের গাছগুলোর মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ অংশ অপসারণও শুরু করেছে। তবে আমাদের অংশ শুরু হয়নি। এই খুবই দুঃখজনক বিষয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন যশোর নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক মাস্টার নুর জালাল, মতিয়ার রহমান, আহসান উল্লাহ ময়না, আব্দুর রহিম, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
এদিকে, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে চার লেনে উন্নীত প্রক্রিয়ায় সড়কের দু’পাশের দু’হাজারের বেশি গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে যশোর রোডের স্মৃতি বিজড়িত কয়েকশ’ শতবর্ষী রেইনট্রি গাছও ছিল। সর্বশেষ চলতি বছরের জুন মাসে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দুই ধারে মরা শতবর্ষী ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো জরুরি ভিত্তিতে অপসারণের অনুরোধ করেছেন শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন। তবে হাইকোর্টে এ-সংক্রান্ত রিটের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সমাধান মিলছে না বলে জানা গেছে। সম্প্রতি শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল ও ঝিকরগাছা ইউএনও মাহবুবুল হক আইনি প্রক্রিয়ায় গাছগুলো অপসারণের অনুরোধ জানিয়ে যশোর জেলা প্রশাসককে আলাদা দুটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দু’পাশে শতবর্ষী বেশ কিছু মরা রেইনট্রি রয়েছে। এশিয়ান হাইওয়ে নামে ওই মহাসড়ক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার বাস চলাচল করে। এ ছাড়া আম্পানসহ ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কয়েকটি গাছ মহাসড়কের পাশে উপড়ে পড়ে আছে। বিভিন্ন সময় উপড়ে পড়া এসব গাছ আজও অপসারণ করা হয়নি। একই সঙ্গে ঝিকরগাছা উপজেলা মোড় থেকে শার্শা বাজার পর্যন্ত জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মরা গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করা যান ও যাত্রীসহ এলাকার মানুষরা আতঙ্কে রয়েছেন। তাই জরুরি ভিত্তিতে গাছগুলো অপসারণ না করলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ উজ জামান বলেন, ‘শার্শা ও ঝিকরগাছা ইউএনওর চিঠি আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। হাইকোর্টে মামলার রায়ের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি। রায় পেলেই সিদ্ধান্ত জানানো যাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।