পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গত ৩০-৩৫ বছরে হাওরে যে উন্নয়ন হয়েছে তার অনেক ক্ষতি করেছে বন্যা। বন্যায় ক্ষতি হয় বলে হাওরের উন্নয়ন বন্ধ করে দেব এটা হতে পারে না। হাওরের মানুষও উন্নত জীবনযাপনের অধিকারী ও অংশীদার। শিগগিরই সিলেট-সুনামগঞ্জে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, বিনামূল্যে বীজ ও সার ক্ষুদ্র চাষিদের মাঝে প্যাকেট করে বিতরণ করা হবে। হাওরের বাসিন্দাদের যাদের কাঁচা ঘর তাদের সিমেন্টের খুঁটি ও মেঝে পাকা করে দিতে পারলে ক্ষয়ক্ষতি কমবে। সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ‘সিলেট অঞ্চলে ঘন ঘন বন্যা ; কারণ, পুনর্বাসন ও স্থায়ী সমাধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, একাত্তর সালে সিলেট সুনামগঞ্জের রাস্তা পাকিস্তানিরা বন্ধ করতে না পারলেও এবারের বন্যা তা পেরেছে। অন্যান্য সময় হাওরের বন্যায় মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিলেও এবছর সরকার পৌঁছার আগেই মানুষ ত্রাণ নিয়ে হাওরবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। কারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, সক্ষমতা বেড়েছে, গড় আয় বেড়েছে। বন্যায় সুনামগঞ্জের সব সড়কের ক্ষতি হয়েছে, গ্রামের রাস্তাগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আলোচনায় সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আজিজুল পারভেজের সভাপতিত্বে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন অনুষ্ঠান উপ-কমিটির আহ্বায়ক এহসানুল হক জসীম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, যেসব নদী ভরাট হয়ে গেছে সেগুলো খনন করা দরকার। সিলেটের সুরমা কুশিয়ারা নদী ও হাওরের যেসব এলাকা ভরাট হয়ে গেছে সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে খনন করা হবে। বন্যা থেকে বাঁচতে হলে ভরাট হওয়া সারাদেশের নদ-নদীগুলো খনন করতে হবে। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বেশি বেশি গাছ রোপণ করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, কেউই কল্পনা করেনি এতো বড় বন্যা হবে, তাই সরকারকে এককভাবে দুষ দেওয়া যায় না। অসংখ্য সমাজসেবী ও মানবসেবী মানুষ বন্যার্তদের সহায়তা করেছে। আমি মনে করি এরাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার মানুষ। বন্যা আগামী বছর আবারও আসতে পারে তাই বন্যা মোকাবিলায় এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। যারা ত্রাণ দিচ্ছেন তাদের বলব, এখন ত্রাণ দেওয়ার চেয়ে পুনর্বাসন জরুরি তাই পুনর্বাসনের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করুন।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, হাওরকে রক্ষা করার জন্য যা কিছু করা দরকার সব কিছুই করা হবে। ইতিমধ্যে সিলেট অঞ্চলে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আরও ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে জনগণের জানমালের আর কোন ক্ষতি হবে না। আপাতত বন্যার অবনতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকের ন্যায় বন্যা দুর্যোগকেও মোকাবিলা করেছেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এম ফিরোজ আহমেদ, সদস্য, পদ্মা সেতু প্রকল্প বিশেষজ্ঞ প্যানেল; ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক ভিসি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সভাপতি, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।