পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে দ্বিতীয় দিনে টোল আদায়ের চাপ অনেকটাই কমেছে। আগের দিন থেকে গাড়ির চাপ কম থাকায় এবং যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে টোল আদায়ের গতি বাড়ায় গতকাল সকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। গত শুক্রবার তিন থেকে চার কিলোমিটার দীর্ঘ জট তৈরি হয়েছিল। এখন খুব কম সময়ে টোল পরিশোধ করে গাড়িগুলো যেতে পারছে।
এক্সপ্রেসওয়েতে যানজটের কারণ ছিল টোল আদায়ে ধীরগতি। ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজার ১০টি টোল বুথের মধ্যে সচল ছিল চারটি। এ কারণে যাববাহনের সারি তৈরি হয়ে যায়। পরে তিনটি বুথ চালু করা হয়। তখন একসাথে সাতটি বুথ টোল আদায় শুরু করে। এতে টোল আদায়ের গতি বৃদ্ধি পায়। গতকাল শনিবার আরও একটি চালু করে এখন মোট আটটি বুথে টোল আদায় হচ্ছে। এতে যানজট দূর হয়েছে।
ফরিদপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করা পরিবহনের এক চালক জানান, সকাল সাড়ে ৫টায় ফরিদপুর থেকে রওনা দিই, ঢাকায় পৌঁছাই ৭টা ৫ মিনিটে। আবার সকাল সোয়া ৮টায় রওনা দিয়ে ১০টার মধ্যে ফরিদপুর চলে আসি। টোল আদায় দ্রুত হওয়ায় এত অল্প সময়ে যাতায়াত সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
মাইক্রোবাসের এক চালক জানান, টোল দিতে খুবই কম সময় লেগেছে, এক মিনিটেরও কম। টোল প্লাজায় কোনো যানজট নেই, ভিড় নেই। টোল নেয়ার ক্ষেত্রে এ গতি রাখতে পারলে সবার উপকার হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। টোল আদায়ে নিয়োজিত এক কর্মী বলেন, বগাইল টোল প্লাজায় আসা-যাওয়া মিলে মোট ১০টি কাউন্টার। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত চারটি করে মোট আটটি বুথ চালু হয়েছে। বাকি দুটির কারিগরি কাজ চলছে। আশা করছি সব বুথ চালু হলে ঈদে যানজট হবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী ৫৫ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক। এর মধ্যে ভাঙ্গা অংশে পড়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় করা হয় ভাঙ্গা গোলচত্বরের অদূরে ভাঙ্গা পৌরসভার বগাইল নামক স্থানে। ওই জায়গায় আসা-যাওয়ার ১০টি লেনে ২৩ কিলোমিটার অংশের টোল নেয়া হচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশটুকু পার হতে একটি বড় বাসকে টোল দিতে হবে ২০০ টাকা। মিনিবাস ১১০, মাইক্রোবাস ৯০, প্রাইভেট কার ৫৫ ও মোটরবাইক ১০ টাকা হারে টোল দিতে হবে। এ ছাড়া বড় ট্রাক ৬৭৫, ভারী ট্রাক ৪৪০ ও মাঝারি আকারের ট্রাকের টোল ২২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।