পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে কয়েক দফা লেগুনা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। লেগুনা মালিক সমিতি ও নীলক্ষেত লেগুনা বাস স্যান্ড সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে- গত এক সপ্তাহে কয়েক দফায় সাতটি লেগুনা ভাঙচুর, চালকদের মারধর এবং নীলক্ষেত স্ট্যান্ডে লেগুনা দাঁড়াতে দেননি ছাত্রলীগের এই হল শাখার নেতাকর্মীরা।
সর্বশেষ গত শুক্রবার বিকেলে ১০-১২ তরুণ লাঠিসোঁটা নিয়ে চারটি লেগুনায় ভাঙচুর চালান এবং চালকদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা নিয়ে চলে যান বলে দাবি অভিযোগকারী এসব ব্যবসায়ীদের। নীলক্ষেত থেকে এসব লেগুনা মূলত চকবাজার, খোলামোড়া এবং গুলিস্তান যায়।
অভিযোগ উঠে, বেশ কয়েকদিন আগে নীলক্ষেতের আশেপাশে লেগুনা মালিক সমিতির কয়েকজনকে চায়ের দাওয়াত দেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোনেম শাহরিয়ার মুন। সেদিনই মূলত হাত খরচের নামে দেড় লাখ টাকা দাবি করেন এ দুই ছাত্রলীগ নেতা। বিষয়টি ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন ঐ বৈঠকে উপস্থিত মালিক সমিতির এক সদস্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সদস্য বলেন, বৈঠকে আমরা টাকা দেয়ার বিষয়ে রাজি না হওয়ায় চার-পাঁচদিন পর এসে তারা গাড়ি ভাঙচুর এবং চালকদের মারধর করা শুরু করেন। স্ট্যান্ডে কোনো গাড়িই তারা রাখতে দেন না। গত এক সপ্তাহে তিন দফায় তারা আমাদের সাতটি লেগুনা ভাঙচুর করেছেন।
এছাড়াও এর মধ্যে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ছাত্রলীগের নেত্রীদের নামেও চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলেছেন এসব ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, তাদের (কলেজ ছাত্রলীগ) কলেজের পাশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরারা গাড়ি খেদিয়ে দেবে সেটি তারা হতে দেবেন না। ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সঙ্গে কথা বলে তারা এই ঝামেলা মিটিয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তাদের দাবি ছিল, আমরা যেন তাদের দেখি। আমরা বলেছি, আপনারা ভার্সিটির ঝামেলাটা বন্ধ করতে পারলে আমরা আপনাদের দেখব। কিন্তু তারা এটি বন্ধ করতে পারেনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা। ঢাবির এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আমার ইমেজ নষ্ট করা হয়েছে। আমি এটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিব।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সভাপতি শারমিন সুলতানা সনি বলেন, আমরা তাদের ডাকিওনি আর বসিওনি।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।