Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামপুরে রাস্তা ও বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকুতে কাজ

ইসলামপুর (জামালপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার যমুনা নদী ভাঙন প্রতিরোধে রাস্তা ও বাঁধ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। জানা যায়, কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচি প্রকল্পের অধীনে উপজেলা পাথর্শী ইউনিয়নের কুলকান্দি মাগুন মিয়ার বাজার হতে মোরাদাবাদ খেয়াঘাট হয়ে দেওয়ানগঞ্জ সীমানা হয়ে পাকা রাস্তা সংলগ্ন খালেকের দোকান পর্যন্ত ৪৮৯০ মিটার ১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম অংশ কাজ শুরু হয় । প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা কাম বাঁধ অতি দরিদ্র শ্রমিক নিয়ে রাস্তা কাম বাঁধ কাজ করার কথা থাকলেও প্রকল্পের সভাপতি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাই মো. আনোয়ার হোসেন ফসলি জমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে মাহিন্দ্র ট্রাক্টর করে রাস্তা কাম বাঁধ নির্মাণ করায় শত শত দরিদ্র শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। ফলে এলাকার শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে এলাকার সুধীজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। এদিকে বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণে বাঁধের উপর ঘাসের চাপড়া বৃক্ষরোপণ না করায় বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ধ্বসে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় শ্রমিক পরিবর্তে ভেকু মেশিনে মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ফেলে রাস্তা কাম বাঁধ নির্মাণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। অপরদিকে রাস্তা কাম বাঁধ গত ৩১ মে শেষ হওয়ার কথা। বাঁধটি কাজ সিংহভাগ বাকি থাকায় ২০২১-২২ অর্থবছর শেষ হয়ে যাওয়ায় বাকি কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটুকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, অর্থবছর জুন মাস শেষ হওয়ায় রাস্তা কাজের টাকা উঠিয়ে ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। বাঁধের কাজ সম্পন্ন শেষ হলে টাকা প্রদান করা হবে। কাজ শেষ করা না হলে সরকারি অর্থ ফেরত যাবে। দক্ষিণ শশারিয়া বাড়ি গ্রামের আমজাদ আলী কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, বাদের মাটি কাটার কাজ, স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে করবে বলে শুনেছি তা না করে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি কাটার কাজ করেছে। এলাকার শ্রমিক তাদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
প্রকল্পের প্রথম অংশের রাস্তা কামবাধ নির্মাণ ২০২১-২২ অর্থবছর জুন মাসের শেষ হওয়ায় এখনো সিংহভাগ কাজ বাকি রয়েছে। প্রথম অংশের কাজ অনিশ্চিত থাকলেও ওই প্রকল্পের ২য় অংশ গত ২৯ জুন উত্তর শশারিযয়া বাড়ি পাকা রাস্তা হতে মলমগঞ্জ বাজার পাকা রাস্তা কাম বাধ ২৭০০ ফুট ৮৫০ মিটার ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের ৬০ কর্মদিবসে প্রকল্পের কাজটি শেষ করবে বলে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যায়। বাঁধটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আব্দুন নাসের বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. তানভীর হাসান রুমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম বাবুল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ