Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নড়াইলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষেধ

বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে খবর প্রচার

যশোর ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

নড়াইলের শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আনা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গোপনে ফোন ব্যবহার করায় উদ্বেগ জানিয়ে তা বন্ধে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। গত ২৮ জুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান এ নির্দেশনা জারি করেন। এছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধে ঈদুল আজহার ছুটির পর নবম-দশম ও একদাশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যদিও গত শুক্রবার রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে খবর প্রচার করা হয় যে, হঠাৎ করেই নড়াইলে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি এমন নয়। অনেক আগে থেকেই সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন বন্ধে নির্দেশনা জারি করা হয় মাউশির পক্ষ থেকে। ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এক আদেশে শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদেশটি ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশিত হয়।

ওই আদেশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন বা শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। এতে শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা শ্রেণির কার্যক্রমে মনোযোগী হতে পারছে না। শ্রেণিকক্ষে কার্যকরী পাঠদান ও শিখন-শেখানো কার্যক্রম ‘শিক্ষার্থীবান্ধব ও গতিশীল করতে’ মোবাইল ফোনে এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানানো হয়। যদিও এই আদেশের বাস্তবতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে উদ্বেগ জানিয়ে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে নড়াইলের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধে গত ২৮ জুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে, বিভিন্ন গণমাধ্যম এই নির্দেশনার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে খবর প্রচার করেছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আনা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা গোপনে মোবাইল আনছে এবং ভালো-মন্দ, কোনো কিছু বিবেচনা না করে বিভিন্ন ধরণের বিতর্কিত পোস্ট লাইক এবং শেয়ার দিয়ে বিব্রতকর ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এই নির্দেশনা জারির পর বিভিন্ন পেশার মানুষসহ অভিভাবকেরা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধের আদেশ কতটা কার্যকর হবে, তা দেখার বিষয়।
এদিকে নড়াইল জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জেলা ও শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন। পরিদর্শনকালে কোন শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চারটি নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- (১) মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসায় দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না। (২) মোবাইল না আনার নির্দেশনাটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের তৎপর থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ চেক করা যেতে পারে। (৩) কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তা নিয়ে নেয়াসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। (৪) মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না আনার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ঈদের ছুটির পর নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ