Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিও ব্যাগ স্থাপন না করে চলে যাচ্ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

আটকে দিলো এলাকাবাসী

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

মনু নদের ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ নদীর দুইপাশে স্থাপন না করেই গোপনে জিও ব্যাগ সরাতে চাইলো কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বালু নদীতে ফেলে দিয়ে খালি বস্তা ট্রাক বোঝাই করে নিতে চাইলে স্থানীয় এলাকাবাসী তা দেখে ফেলায় ঘটলো ভীতিকর ঘটনা। খবর পেয়ে কুলাউড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে জিও ব্যাগ যেখানে আছে সেখানেই থাকার নির্দেশ দেন। এদিকে মৌলভীবাজারের প্রধান খর স্্েরাতা মনু নদীর ভাঙন রোধে এবং বন্যার স্থায়ী সমাধানে “মনু নদের ভাঙন থেকে কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর রক্ষা” প্রকল্পের হাজার কোটি টাকার কাজে অনিয়মের অন্ত নেই। কয়েক দফায় হাতেনাতে স্থানীয়রা অনিয়ম ধরার পরেও এখনোও আমলে নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এমন উদাসিনতা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার সকালে মনুনদীর কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের বেলেরতল সাইট থেকে ভরাট করা জিও ব্যাগ খালি করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা জিও ব্যাগ ভর্তি একটি ট্রাক আটক করেন। এছাড়াও গত ২০ জুন রাজনগর উপজেলার আদনাবাদ এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগীতায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙন ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে জিও ব্যাগ না ফেলে রাতের আধাঁরে টাস্কফোর্সের গণনাকৃত হাজারের উপরে জিও ব্যাগ মনু নদীর স্রোতের সাথে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ব্লক নির্মাণে পূর্বে ব্যবহারকৃত নিম্নমানের পাথর ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ‘মনু নদের ভাঙন থেকে কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর রক্ষা’ নামে ওই প্রকল্প ২০২০ সালের জুন মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন লাভ করে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৯’শ ৯৬ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা। ২০২৩ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ২ বছরে মাত্র ২৩ শতাংশ কাজ হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে বেশির ভাগ কাজ ভেসে যাচ্ছে নদীর স্্েরাতে।
উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ইনকিলাবকে জানান, এলাকাবাসীর হাতে আটক ৫ হাজার বস্তা জিও ব্যাগ যেখানে ছিলো সেখানেই রাখার নির্দশনা দেয়া হয়েছে। বালু কোথায় থেকে আসবে পরবর্তীতে আলোচনা করে দেখা যাবে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুইটি সাইটে কাজ করছে। ওই সাইটে বালু না পাওয়ায় সে অন্য সাইটে জিও ব্যাগ নিতে চেয়ে ছিল। এলাকাবাসীর বাঁধার প্রেক্ষিতে তাকে নিষেধ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ