রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সোনারগাঁও উপজোলার সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়াপাড়া গ্রামে গৃহবধূ জুনু আক্তারকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে এ হত্যাকান্ডটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে নিহত গৃহবধূর স্বামী। জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে জুনু আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়াপাড়া গ্রামের দাইয়ানের ছেলে কবির হোসেনের ৪ বছর পূর্বে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দু’বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী কবির হোসেন বিভিন্ন সময়ে জুনু আক্তারকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য মারধর করতো। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জুনুকে স্বামী কবির হোসেন, শশুর দাইয়ান ও শাশুড়ি শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে। গৃহবধূ জুনু আক্তারের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে বাড়ির সকলেই রাতের আধার পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে আশপাশের লোকজনের কাছে প্রচার করে নিহতের শশুর বাড়ির পরিবার। নিহত গৃহবধূর বড় ভাই সোলায়মান মিয়া জানান, গতকাল শনিবার ভোরে একটি অচেনা মোবাইল নাম্বার থেকে আমার বোনের মৃত্যুর সংবাদ দেয়া হয়। যৌতুকের জন্য আমার বোনকে প্রায়ই মারধর করা হতো। আমি আমার বোনের হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
তিনি আরো জানান, নিহতের শরীরে গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় নির্যাতন করে আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আত্মহত্যার কোন আলামত পাইনি। লাশ স্বাভাবিকভাবে মাটিতে পড়ে ছিল। লাশের গলায় ও শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো: জাকির হোসেন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।