রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নেত্রকোনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সমর্থন পাওয়ার জন্য জোর লবিং-গ্রুপিং শুরু করেছেন। তবে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ওই দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে তেমন কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে নেত্রকোনায় ১ ডজন নেতা কেন্দ্রীয়ভাবে আবেদন করে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে যে কোনো একজন মনোনয়ন পেতে পারেন। তবে সর্বশেষ কে ধরছেন নেত্রকোনার নৌকার হাল তার অপেক্ষায় জেলার নেতা-কর্মীরা। জেলা পরিষদের আইন অনুযায়ী সাধারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ এই নির্বাচনের ভোটার হবেন। তারা জেলা পরিষদের ২১ সদস্যবিশিষ্ট প্যানেলে ১ জনকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (উপমন্ত্রী পদমর্যাদা), ৫ জনকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা ও ১৫ জনকে সাধারণ সদস্য হিসেবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। এই নির্বাচনের ভোটার হিসেবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারগণ। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেনÑ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ মতিয়র রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামছুজ্জোহা, সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক তফসির উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জিপি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের বড় ভাই নুর খান মিঠু, সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম বজলুল কাদের শাজাহান, আওয়ামী লীগ নেতা লে. কর্নেল (অব.) আবদুন নুর খান, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকার, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ওমর ফারুক, আওয়ামী লীগ নেতা অসিত কুমার সরকার, সাবেক যুবলীগ নেতা এস বি খান শাহীন। দলের মনোনয়ন পেতে আটঘাট বেঁধে চেষ্টা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের এক ডজন প্রার্থী। অন্যদিকে বর্তমান সরকারের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইছেন ’৯০-র এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের ছাত্রনেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কার্যকরী সভাপতি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ মুখলেছুর রহমান মুক্তাদির। তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেলে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নেবেন এমন কথা এখনো শোনা যাচ্ছে না। এ ছাড়া সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে সদস্য পদের জন্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতা দলীয় সমর্থন লাভের জন্য জোর চেষ্টা-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনাসহ সারা দেশে ৬১টি জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নেত্রকোনা জেলার ১০টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা ও ৮৬টি ইউনিয়নে ১২১৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।