বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার শহরে থাকবেনা পর্যটক ভোগান্তি। আগামী পর্যটন মৌসুমের আগেই শেষ হচ্ছে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক সংস্কার কাজ। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল (অব) ফোরকান আহমদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী পর্যটন মৌসুমের আগেই (ডিসেম্বরে) শেষ হবে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক সংস্কারের কাজ। দুই পাশে ড্রেইন নির্মাণ শেষ হওয়ায় সড়কের উত্তর দক্ষিণ ঠিক হয়ে গেছে। এখন মাঝখানের কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলে ভোগান্তি আর থাকবেনা। তিনি কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কের সংস্কার কাজ পরিদর্শন কালে আজ একথা বলেন।
কউক চেয়ারম্যান বলেন, শহরে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবেনা। সড়ক দখল করে নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তিনি বলেন, কউকের অনুমোদন দেয়া ভবনগুলোও যথাযথভাবে তৈরি হচ্ছে কিনা তদারকি করা হচ্ছে।
এসময় সংবাদ কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে কউক চেয়ারম্যান বলেন, ঈদের ছুটিতে কাজ কয়েকদিন বন্ধ থাকতে পারে। ঈদুল আজহার পরে আবার পুরোদমে কাজ চলবে।
সড়কের প্রশস্তকরণের পাশাপাশি দুইপাশে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাত, ড্রেন, ব্রীজ-কালভার্ট, সাইকেলওয়ে নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হচ্ছে। তিনটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণসহ সড়কের ফিনিশিং কাজ চলছে।
এছাড়া সড়কের মাঝখানে সবুজায়ন, দুইপাশে সড়ক বাতি ও সিসি ক্যামেরা এবং ওয়াইফাই সংযোগ স্থাপন করা হবে। আগামী ডিসেম্বরে এই সড়কের কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। শহরের ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার হলিডে মোড় থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত এগিয়ে চলছে এই সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণের কাজ। ইতোমধ্যে
২৯৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রকল্পের ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের হলেও এই সড়কটি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) কাছে হস্তান্তর করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।