পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণশুনানির রায়ে পেট্রোবাংলাকে নিরাপত্তা ও উন্নয়ন তহবিল থেকে নেওয়া ১২ হাজার ২২৭ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে নিজেদের এনার্জি সিকিউরিটি ফান্ড থেকে ৯ হাজার ২২৭ কোটি টাকা নেয় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাটি। এছাড়া উদ্বৃত্ত অর্থ হিসেবে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা তারা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।
গত ২১ থেকে ২৪ মার্চ গ্যাসের দাম সমন্বয়ের বিষয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ভোক্তা অধিকার সংস্থা, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক নেতারা অর্থ ফেরতের দাবি জানান। তারা বলেন, এই টাকা পেট্রোবাংলার আয় নয়। ফলে এটি সরকারি অর্থের অপব্যবহার। গত সোমবার এই রায় প্রকাশ করা হয়।
শুনানিতে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি প্রফেসর এম শামসুল আলম বলেন, বিইআরসির কোনো উদ্বেগ ছাড়াই পেট্রোবাংলার তহবিল পরিচালনা করা একটি ‘স্বার্থের দ্ব›দ্ব’। পেট্রোবাংলা আলাদাভাবে উল্লেখ করেনি তারা স্পট মার্কেট থেকে কত গ্যাস আমদানি করেছে এবং কতটা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিসংখ্যানের মধ্যে ব্যবধানের সাথে, এটি অর্থের অপব্যবহার করার সুযোগ তৈরি করেছে।
কিন্তু পেট্রোবাংলার প্রতিনিধি এই যুক্তিতে একমত হননি। কোম্পানির পরিচালক একেএম বেঞ্জামিন রিয়াজী দাবি করেন, এলএনজি আমদানির জন্য তাদের কাছে কোনো উদ্বৃত্ত অর্থ নেই।
বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি আগস্ট ২০১৮ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত বিশ্লেষণে দেখেছে, এলএনজি আমদানির জন্য পেট্রোবাংলার ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকা। যেখানে আয় হয়েছে ৪৯ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। ফলে ২ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে।
রায়ে বলা হয়, পেট্রোবাংলা ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে গড়ে যথাক্রমে ৫৫৮ এমএমসিএফডি এবং ৫৮৯ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন ঘনফুট দৈনিক) গ্যাস আমদানি করেছে। অথচ বিইআরসির ২০১৯ সালের ৮৫০ এমএমসিএফডি আমদানির প্রাক্কলন করেছিল।
কমিশন বলেছে, পেট্রোবাংলা প্রাক্কলিত খরচের চেয়ে কম দামে এলএনজি আমদানি করেছে। ভোক্তা পর্যায়ে মোট বিতরণ ব্যয় কমে যথাক্রমে ৭ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা এবং ৭ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত এলএনজি আমদানি ব্যয়ের তুলনায় পেট্রোবাংলার এলএনজি চার্জ এবং সংশ্লিষ্ট আয় বেশি ছিল। সে কারণে জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল থেকে নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া উচিত। এছাড়া পেট্রোবাংলার উদ্বৃত্ত অর্থ হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা থাকা গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের ৩ হাজার কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিইআরসি। ফেরত দিতে হবে সুদের সাথে।
কোম্পানিটি ২০১৮ সাল থেকে ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত দুটি তহবিল থেকে ১২ হাজার ২২৭ কোটি টাকা নিয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সংসদ স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং পাবলিক অ-আর্থিক কর্পোরেশনগুলির উদ্বৃত্ত তহবিলের আমানত সরকারী কোষাগার আইনে পাস করে।
এ আইনের অধীনে পেট্রোবাংলা সরকারি কোষাগারে ৫ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। এর মধ্যে জিডিএফ বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিইআরসির জুলাই ২০০৯ সালের একটি আদেশের মাধ্যমে তহবিলটি তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে ভোক্তাদের দ্বারা প্রদত্ত ট্যারিফের একটি অংশ এই তহবিলের জন্য রাখা হয়েছিল এবং সরকার প্রবিধান করেছিল কোথায় অর্থ ব্যয় করা যেতে পারে।
২০১২ সালের জিডিএফ প্রবিধান অনুযায়ী, অর্থ শুধুমাত্র গ্যাস অনুসন্ধান এবং উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ধার দিয়ে ব্যয় করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, বিইআরসির পক্ষ থেকে পেট্রোবাংলাকে একাধিকবার টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি দিলেও কোনো লাভ হয়নি।
সোমবারের রায়ে বলা হয়েছে, জিডিএফ থেকে অর্থ নিয়ে গৃহীত প্রকল্প, প্রকল্পের অগ্রগতি এবং তাদের সুবিধার প্রতিবেদন প্রতি ছয় মাস অন্তর বিইআরসিকে পাঠাতে হবে। এছাড়া পেট্রোবাংলার গ্যাস উৎপাদন ও খরচ, আমদানি ও খরচ, কর ও ভ্যাট সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদনও চাওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।