Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যার্ত মানুষের ভাগ্যে ঈদের আনন্দ জুটবে না -ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২২, ৯:৩৬ পিএম

ত্রাণ না পেয়ে বন্যার্ত মানুষের মাঝে হাহাকার চলছে। বন্যা প্লাবিত সিলেট, কুড়িগ্রাম ও সুনামগঞ্জের অনেক ক্ষুধার্ত মানুষ এখনো কোনো ত্রাণ পায়নি। দূর্গম এলাকার বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ মানুষের ভাগ্যে এবার ঈদের আনন্দ জুটবে না। ভারতপ্রীতির কারণে দেশে পানি আগ্রাসন চালছে। বন্যার্তদের জন্য সুদমুক্ত ঋণ এবং কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার বন্যা প্লাবিত এলাকায় অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণকালে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর ও বগুড়া জামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল হক আজাদ বলেছেন, সরকারের অতিমাত্রায় ভারতপ্রীতির কারণে ভারত বাংলাদেশে পানি আগ্রাসন চালাচ্ছে। ভারতের পানি আগ্রাসন সম্মিলিত ভাবে রুখে দিতে হবে। আজ সকালে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই’র পক্ষে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের বগুড়া জেলা সভাপতি মাওলানা মামুনুর রশিদ, মাওলানা আব্দুল মতিন, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, মাওলানা ইউনুছ আলী, মাওলানা আব্দুল মালেক। নেতৃবৃন্দ বলেন, বন্যা পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কৃষিপণ্য, সার, বীজসহ যাবতীয় কিছু এবং বিনা সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যা পরবর্তীতে যেন খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্তরা কাটিয়ে উঠে স্বাবলম্বি হতে পারে। এজন্য সরকারকে যা যা করার তা-ই করতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন : আজ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের পক্ষ থেকে সিলেটের কুশিঘাট, বুরহানাবাদ ও গোয়াইনঘাট এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ সহায়তা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি। এতে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মাওলানা এহতেরামুল হক উজানী, খেলাফত আন্দোলন সিলেট জেলা আমীর মাওলানা শায়েখ নাসিরুদ্দিন, মুফতী আখতারুজ্জামান আশরাফী, মহিউল ইসলাম চৌধুরী মুনসুর, মাওলানা মাহদী হাসান, হাফেজ ইকবাল হাসান আজাদ ও মাওলানা ফয়সাল বিন হাসেম। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাউল, ডাউল, আলু, সয়াবিন তৈল, চিড়া মুড়ি, বিস্কুট, মিনারেল ওয়াটার, ওরস্যালাইন, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এবং প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণকালে বন্যার্ত অসহায় মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে খেলাফত আন্দোলনের শীর্ষ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি বলেন, ইসলাম সহমর্মিতা ও মানবতার কল্যাণের ধর্ম। ইসলামের আদর্শই হচ্ছে একে অপরের সহযোগিতা করা, একজন আরেক জনের পাশে দাঁড়ানো। তিনি বলেন, ইসলামের এই সু-মহান শিক্ষার চেতনার আলোকে যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে সাধ্যমতো সাহায্যের হাত প্রসারিত করে যে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে চলছে তা চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবে। এছাড়া, সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জীর নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণ কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ আবদুর রহিম,মো. জাহাঙ্গীর, মাষ্টার জিয়াউর রহমান, মো. জসিম উদ্দিন ও হাফেজ নোমান।
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস : বুধবার বাদ মাগরিব সিলেট মহানগর মজলিস কার্যালয়ে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগরীর তত্বাবধানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ বিতরণ পুর্ব বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি গাজি মাওলানা রহমতুল্লাহ'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এমরান আলমের পরিচালনায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ঐক্যজোট : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান , বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব এবং মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করিম খান আজ এক বিবৃতিতে বলেন, সিলেট, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ এবং বাড়ী ঘর ও সড়ক রাস্তা পুর্ননিমাণের দাবি জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত সিলেট সুনামগঞ্জের সুরমা কুশিয়ারা নদীসহ সকল খাল নালা খনন এবং সংস্কারে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করা হয়নি। এই খাতে সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় হয়েছে কী না তা’খতিয়ে দেখতে হবে। নেতৃদ্বয় বলেন, এই খাতে সিলেট বিভাগে কত অর্থ বরাদ্দ হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ তা’ জানতে চায়।
তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ : কুড়িগ্রাম সদর থানাধীন যাত্রাপুর বাজার, চিরাখাওয়া চর, ঝুনকার চর, লরাকাটা, বড়ুয়া এলাকার বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ। আজ আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আল্লামা জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এই ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। সে সময় আল্লামা জহুরুল ইসলাম উপস্থিত বানভাসি মানুষের কথা শুনেন এবং তাদের সান্ত¡না দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খতমে নবুওয়ত এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা মুমিনুল ইসলাম, মাওলানা গোলাম মাওলা, মাওলানা নাজির আহমাদ, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা হুমায়ুন কবির, কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাওলানা আবু বকর, ক্ুিড়গ্রাম জেলা সেক্রেটারি মুফতী জামাল উদ্দিন ও হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ