যেভাবে ৫০০
ক্লাব ফুটবলে গোলের প্রায় সব রেকর্ডই তার দখলে। এবার সেই লিওনেল মেসি উঠে গেলেন আরেক উচ্চতায়। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে ৫০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মেসি।
সর্বোচ্চ কতজন বাঁ-হাতি খেলোয়াড়ের একাদশ?
পাঁচটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল এখন ভারত সফরে। ইতোমধ্যে দুটি টেস্টও খেলে ফেলেছে তারা। ভিসাখাপত্তনমের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড দলে ছিলেন সাত জন বাঁ-হাতি খেলোয়াড়Ñ মঈন আলি, জেমস অ্যান্ডারসন, জাফর আনসারি, স্টুয়ার্ট ব্রড, অ্যালিস্টার কুক, বেন ডাকেট ও বেন স্টোকস। গেল গ্রীস্মে প্রথম চার টেস্টেও নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংলিশ দলে ছিলেন সাতজন বাঁ-হাতি (মঈন, অ্যান্ডারসন, ব্রড, কুক, স্টোকস, গ্রে ব্যালেন্স ও অ্যাডাম লিথ)। কিন্ত ইংলিশদের এই রেকর্ডটা আট জনের, ২০১৩-১৪ মৌসুমে সিডনিতে শেষ অ্যাসেজ টেস্টে । ওই দলের ছিলেন অ্যান্ডারসন, ব্যালেন্স, ব্রড, কুক, স্টোকস, স্কট বোর্থউইক, মিচেল কারবারি ও বয়েড র্যানকিন। এক ম্যাচে দলীয় একাদশে সর্বোচ্চ আট জন বাঁ-হাতি খেলার এই রেকর্ড ইংলিশদের ভাগাভাগি করতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে। ২০০০ সালে আটজন বাঁ-হাতি নিয়ে দুটি টেস্ট খেলেছেল জিমি অ্যাডামসের ক্যারিবিয় দল। চর্জটাউন টেস্টে সেই দলে ছিলেন অধিনায়ক জিমি অ্যাডামস, কার্টলি অ্যামব্রোস, শিভনারায়ন চন্দরপল, ক্রিস গেইল, আদ্রিয়ান গ্রিফিত, ওয়াভেল হিনডস, রিডলে জ্যাকোবস ও নিক্সন ম্যাকলেয়ান। ওভালে এই দলে দুটি পরিবর্তন আসে। চন্দরপল ও গেইলের জায়গায় আসেন ব্রায়ান লারা ও মাহেন্দ্রো নাগামতু।
নারী ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ইনিংস, সেরা বোলিং কার?
আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটে টেস্টে প্রথম দ্বিশতক গড়ার কীর্তি গড়েন নিউ জিল্যান্ড ব্যাটসম্যান কির্স্টি ফ্লাভেল। ১৯৯৬ সালে স্কারব্রোতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর আরো পাঁচবার ডাবল সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে নারী ক্রিকেটে। সর্বোচ্চ ২৪২ রানের ইনিংটি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান কিরন বালুচের নামে। ২০০৩/০৪ মৌসুমে করাচিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন কিরন।
বেস্ট বোলিং ফিগারের সাথে জড়িয়ে আছে ভারতের বাঁ-হাতি স্পিনার নিতু ডেভিডের নাম। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৩ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন নিতু। এক ম্যাচে ৭ উইকেট নেয়ার ঘটনা আছে আরো ১০ বার। ১৯৫৭-৫৮ সালে মেলবোর্নে ম্যারি ডাগান ইংল্যান্ডের হয়ে ৬ রানে ৭ উইকেট নেয়ার পর একই মাচে ৭ রানে ৭ উইকেট নেন অস্ট্রেলিয় বোলার বেটি উইলসন।
একদিনের নারী ক্রিকেটেও দ্বিশতের রেকর্ড আছে। ১৯৯৭-৯৮ সালে মুম্বাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ডেনমার্কের বিপক্ষে হার না মানা ২২৯ রানের ইনিংস খেলেন বেলিন্ডা ক্লার্ক। একদিনের নারী ক্রিকেটের সেরা বোলিং পাকিস্তানি অফ স্পিনান সাজিদা শাহার। ২০০৩ সালে আর্মস্টার্ডামে জাপানের বিপক্ষে ৪ রানে ৭ উইকেট নেন তিনি। জাপান সেদিন অলআউট হয় মাত্র ২৮ রানে, যার মধ্যে ২০ রানই ছিল ওয়াইড থেকে।
ইডেনে সবচেয়ে বেশি রান, সেঞ্চুরি কার?
ভারতের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট ভেন্যু হল ইডেন গার্ডেন্স। ৬৬ সহ¯্রাধীক দর্শক ধারনক্ষম স্টেডিয়ামটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট ভেন্যুও। ১ লক্ষাধীক দর্শক ধারণক্ষ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড হল বিশ্বের সবচেযে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কিন্তু প্রশ্ন হল কোলকাতার ক্রিকেটের প্রাণ ইডেন গার্ডেন্সকে নিয়ে। এই মাঠে সবচেয়ে বেশি রান কার? সবচেয়ে বেশি শতকই বা কোন ব্যাটসম্যানের? এখানে সর্বোচ্চ ১৩টি টেস্ট খেলেছেন শচীন টেন্ডুলকার, করেন মোট ৮৭২ রান। এই রান নিয়েও তিনি তালিকার তৃতীয় অবস্থানে। ১০ ম্যাচে ১২১৭ রান নিয়ে এই তালিকায় শীর্ষে ভিভিএস লক্ষণ, গড় ১১০.৬৩। সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চরিও তার নামে। তবে শতকের রেকর্ডটা মোহাম্মাদ আজহারউদ্দিনের সাথে ভাগাভাগি করতে হয়েছে লক্ষণকে। মাত্র সাত ম্যাচে ইডেনে লক্ষণের সমান ৫টি শতক আছে ঘরের ছেলে আজহারউদ্দিনের।
৯ ম্যাচে ৪টি শতক ও ৯৬২ রান নিয়ে এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের আরেক ব্যাটিং গ্রেট রাহুল দ্রাবিড়। সাত ম্যাচে আজহারউদ্দিনের সংগ্রহ ৮৬০। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৪৬ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান রোহান খানহায়ের। এখানেই তার ক্যারিয়ার সেরা ২৫৬ রানের ইনিংসটি খেলেছেছিলেন তিনি। তার পরেই ২৯৭ রান নিয়ে আছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইউনিস খান। ইডেনে দুটি সেঞ্চুরি করা চারজন বিদেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে ইউনিস একজন। বাকি তিনজন হলেনÑ হাশিম আমলা, গ্রে কার্সস্টেন ও এভারটন উইক। উল্লেখ্য লক্ষণ তার সেই মহাকাব্যিক ২৮১ রানের ইনিংসটি খেলেছেেিলন এই মাঠেই। যা এখনো হয়ে আছে এই মাঠের সর্বোচ্চ ইনিংসও।.
এক ম্যাচে সর্বোচ্চ
কতটি সেঞ্চুরি আছে?
এ পর্যন্ত দুটি ম্যাচে সর্বোচ্চ আটটি করে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে। এবং বুঝতেই পারছেন এমন ব্যাটিং প্রদর্শনির ম্যাচ দুটি নিশ্চিতভাবেই ড্রর মাল্য পরেছিল। প্রথমটি হয়েছিল ২০০৫ সালে অ্যান্টিগুয়া টেস্টে। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হয়ে সেই ম্যাচে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেনÑ এবি ডি ভিলিয়ার্স (১১৪), গ্রায়েম স্মিথ (১২৬), জ্যাক ক্যালিস (১৪৭) ও অ্যাসলে প্রিন্স (১৩১)। সেই ম্যাচেই ক্রিস গেইল খেলেন তার সেই অনবদ্য ৩১৭ রানের ইনিংটি। এসময় তিনি পাশে পেয়েছিলেন রামনরেশ সারোয়ান (১২৭), শিভনারায়ন চন্দরপল (১২৭) ও ডয়াইন ব্রাভোকে (১০৭)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেই ম্যাচে করেছিল ৭৪৭ রান। আশ্চর্যের বিষয় হল মাত্র দুই ইনিংসেই (নিজ নিজ দলের প্রথম ইনিংস) এই কীর্তি গড়েন দুদলের ব্যাটসম্যানরা।
এক ম্যাচে আট সেঞ্চুরি করা অপর ম্যাচটির সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। ১০১৩ সালের সেই গল টেস্টে। যে টেস্টে প্রথম টাইগার ক্রিকেটার ক্রিকেটার হিসেবে দুইশ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিশতকের খুব কাছে গিয়েও সেদিন ১০ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছিল মোহাম্মাদ আশরাফুলকে (১৯০)। এই ম্যাচেই ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান নাসির হোসেন (১০০)। মোট আটজন ব্যাটসম্যানের বাকি পাঁচ শতক হাকান চারজন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে দুই ইনিংসেই তিন অঙ্কের দেখা পান কুমার সাঙ্গাকারা (১৪২ ও ১০৫)। বাকি তিনজন হলেন তিলেকারতেœ দিলশান (১২৬), দিনেশ চান্দিমাল (১১৬*) ও লাহিরু থিরিমান্নে (১৫৫*)।
সাতটি করে সেঞ্চুরি আছে ছয়টি টেস্টে। এর মধ্যে কেবল একটিতেই জয়-পরাজয়ে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পেরেছে। ১৯৫৫ সালের জুলাইয়ে সিংস্টন টেস্ট। বিজয়ী দল অস্ট্রেলিয়ার পাঁচজন ও বিজিত দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইজন সেদিন গড়েছিলেন এই কীর্তি।
টেস্টের দ্রুততম ১০০ ক্যাচের মালিক কে?
আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে স্লিপের ফিল্ডাররাই সাধারণত এই রেকর্ডের মালিক। এই তালিকায় সবার ওপরে অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার বব সিম্পসন। মাত্র ৫৪ টেস্টে ১০০ ক্যাচ নেয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। তবে এজন্য তিনি সময় নেন প্রায় ২০ বছর! ৫২ ম্যাচে ৯৯টি ক্যাচের পরিসংখ্যান নিয়ে ১৯৬৭-৬৮ সালে অবসরে যান স্যাম্পসন। ১০ বছর পর পার্থে ভারতের বিপক্ষে আসে তার একশতম ক্যাচটি। এসময় অস্ট্রেলিয়া দলে বিদ্রহ দেখা দিলে নাটকীয়ভাবে অজি অধিনায়কের ডাক আসে তার কাছে।
৬০তম ম্যাচে ১০০ ক্যাচের মাইলফলকে পৌঁছান নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান রস টেলর। তারই স্বদেশী স্টিফেন ফ্লেমিং ক্যাচের শতক স্পর্শ করেন ৬৮ ম্যাচে। দুই চ্যাপেল সহদরÑ ইয়ান ও গ্রেগ এই লক্ষ্য স্পর্শ করেন সমান ৬৯ ম্যাচে। এরকম আরো ২৬ জন আছেন যারা একশর কম ম্যাচ খেলে ১০০ ক্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।
সদ্য শেষ হওয়া ভিসাখাপত্তনম টেস্টে ইংল্যান্ড দলে ছিলেন ৭ জন বাঁ-হাতি খেলোয়াড়। এক ম্যাচে এর চেয়েও বেশি সংখ্যক বাঁ-হাতি খেলোয়াড়ের একাদশে থাকার রেকর্ড আছে। তাহলে রেকর্ডটা কতজনের? একটি টেস্ট ম্যাচে সর্বোচ্চ কতটি ব্যাক্তিগত শতকের রেকর্ড আছে? টেস্ট ক্রিকেটে কম ম্যাচে ১০০ ক্যাচ নেয়ার রেকর্ডটাই বা কার দখলে? এছাড়া নারী ক্রিকেট সম্পর্কে অনেক তথ্যই তো আমাদের অজানা। এমনি কিছু অজানা প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আজকের আয়োজন। ইএসপিএনক্রিকইনফো অবলম্বনে লিখেছেন- ইমামুল হাবীব বাপ্পি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।