Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাটখাত রক্ষায় আলাদা তহবিল গঠনের দাবি ব্যবসায়ীদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২২, ১২:০৪ এএম

পাটখাত রক্ষায় ইডিএফ এর মত ২% সুদে ঋণ পেতে আলাদা তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন জুট অ্যান্ড জুট প্রোডাক্টস এর প্রথম সভায় এ দাবী জানান ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, স্বল্পসুদে তহবিল থেকে ঋণ পেলে, দেশের পাট খাত ঘুরে দাঁড়াবে এবং সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগানো সম্ভব হবে। বৈঠকে কাঁচাপাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাজেটে আরোপিত ২ শতাংশ উৎসে কর ও রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনায় ১০% হারে উৎস কর প্রত্যাহার, পাটপণ্যে ভারতের এন্টি-ডাম্পিং ডিউটি স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া, বেসরকারি পাটকলের ব্যাংক ঋণ মওকুফ ও উচ্চ ফলনশীল পাটবীজ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে শতভাগ রপ্তানিমুখী পাটপণ্যে কর না চাপানোর আহŸান জানিয়ে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্যের দুরাবস্থায় তৃণমূলের বহু মানুষের কর্মসংস্থান আজ হুমকির মুখে। এ খাতকে বাঁচাতে সরকার থেকে পর্যাপ্ত নীতিসহায়তা দরকার। এজন্য পাট ও পাটজাত পণ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, এখন সময় এসেছে পাট খাতের জাগরণের। বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধের কারনে বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ খাতের উন্নয়নে নীতিসহায়তা পেতে এফবিসিসিআইর সর্বোচ্চ সহযোগীতা থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, পাট একইসাথে শিল্প ও কৃষিপণ্য হওয়ায় ২০০ ভাগ মূল্য সংযোজন হয় এ খাতে। শতভাগ রপ্তানী পণ্য হওয়ার পরেও অগ্রিম আয়কর দিতে হয় যা চলে যায় ক্রেতার উপর। এসব কারনে পাটপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ খাতের খরচ কমাতে লো কস্ট ফান্ডিং এর আহŸান জানান তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশে জুটমিলস অসোসিয়েশনের সভাপতি ও কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন বলেন, পাট পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক তন্তু হওয়ায় পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ব্যাংক ঋণে উচ্চ সুদ, কাচাপাটের চড়া দাম এবং সেই তুলনায় পণ্যের বিক্রয়মূল্য কম হওয়ায় মিল মালিকরা চলতি মূলধনের সংকটে ভুগছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ এ খাতের জন্য অত্যন্ত জরুরী। সভায় আরো কথা বলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, কমিটির কো-চেয়ারম্যান শেখ নাসিরউদ্দিন, মো. রবিউল আহসান, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. হাসেন আলি, এস. আহমেদ মজুমদার। সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হারুন ও মহাসচিব মো. মাহফুজুল হক।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ