Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বড়াইগ্রামে এক রাতে কৃষকের ৭ গরু চুরি

বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

নাটোরের বড়াইগ্রামে এক রাতে আব্দুস সোবহান নামে এক কৃষকের সাতটি গরু চুরির হয়েছে। গত রোববার মধ্যরাতে উপজেলার বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের উপলশহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কৃষক আব্দুস সোবহান জানান, প্রতিদিনের মত গত রোববার রাতে তিনি শোবার আগে গরুগুলো গোয়াল ঘরে তালা দেন। পরদিন সোমবার ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের তালা ভেঙ্গে চোরেরা তার তিনটি গাভী, দুটি এঁড়ে বাছুর ও দুটি বকনা বাছুর নিয়ে গেছে। এতে তার কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। গরুগুলো উদ্ধারসহ দোষীদের আটকে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
চকরিয়ায় অবৈধ করাতকলে কোটি টাকার চোরাই কাঠ মজুদ
কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্নস্থানে গড়ে উঠেছে ৫৮টি করাতকল। এর মধ্যে ৪৯টি করাতকলই অবৈধ। এসব করাতকল উচ্ছেদে বন বিভাগ ও প্রশাসনের নেই কোন উদ্যোগ। এসব অবৈধ করাতকলে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সংরক্ষিত বন থেকে কাটা সেগুন, গর্জন, গামারসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় কোটি টাকার চোরাই কাঠ মজুদ রয়েছে বলে স্ব-স্ব এলাকার পরিবেশ সচেতন জনগণ অভিযোগ করেছেন।
বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ফাঁসিয়াখালী ও বমুবিলছড়িতে কোনো করাতকল নেই। অন্য ১৬টি ইউনিয়নে ৪৩টি করাতকল রয়েছে। চকরিয়া পৌরসভায় আছে ১৪টি করাতকল। এসব করাতকলের মধ্যে নয়টির মাত্র অনুমোদন রয়েছে। ৪৯টি করাতকল চলছে অবৈধভাবে। বনাঞ্চলের তিন কিলোমিটারের ভেতরে হওয়ায় বন বিভাগ এসব করাতকলের অনুমোদন দেয়নি। চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার এলাকার একটি করাতকলের মালিক বলেন, করাতকলের লাইসেন্স নিতে কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু অনুমোদন না পাওয়ায় আমাদের করাতকলগুলো অবৈধ থেকে গেছে। তবে করাতকলে সংরক্ষিত বনের গাছ চেরাই হচ্ছে না দাবি করে তিনি বলেন, মানুষের বসতভিটার গাছ চেরাইয়ের জন্য করাতকল বসানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও কাঠ পাচারকারী চক্র এসব করাতকল বসিয়েছে। প্রতিরাতে বনাঞ্চলের মূল্যবান গাছ কেটে চেরাইয়ের জন্য করাতকলে নেওয়া হয়। গভীর রাতে চেরাই শেষে কাঠগুলো বিভিন্ন ট্রাক ও নৌকায় করে দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করা হয়। বন উজাড়ের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।
সূত্র জানায়, অবৈধ করাতকলগুলোতে নামমাত্র অভিযান চালিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না। এসব নামমাত্র অভিযানের এক মাস না পেরোতেই ফের চালু করা হয় করাতকলগুলো। সরেজমিন দেখা গেছে, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ও ডুলাহাজারা বাজার এলাকায় ৪টি করে ৮টি, পহরচাঁদা, বদরখালী বাজার ও বেতুয়া বাজার এলাকায় ৩টি করে ৯টি এবং পৌরসভার মৌলভীরকুমে ৫টি করাতকল আছে। এছাড়া লামার চিরিঙ্গা, বাঁশঘাট, মগবাজার, শিকলঘাট, একতা বাজার, রসুলাবাদ, শান্তিবাজার, ডেইঙ্গাকাটা, ইলিশিয়া বাজার, মরংঘোনা, আকতার মিয়ার কাছারী এলাকা, বহদ্দারকাটা, রামপুর, বাটাখালী সেতু এলাকা, নাথপাড়া, নয়াপাড়া, মাঝেরফাঁড়ি সেতু এলাকা ও মানিকপুর মগপাড়া এলাকায় ১টি করে করাতকল আছে। এসব করাতকলের অবস্থান নদী, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক ঘেষে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ