Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নায়কের অত্যাচারে অভিনয় ছেড়েছি: আশা পারেখ

| প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেত্রী আশা পারেখ, এখন প্রবীণ খাতায় নাম লিখিয়েছেন। কিন্তু ৭০-৮০র দশকে এই অভিনেত্রীর পাগল করা রূপ এবং অসাধারণ অভিনয়ের দক্ষতার প্রতি ‘ফিদা’ হয়নি এমন কেউ নেই। পরলোকগত কিংবদন্তী অভিনেতা রাজেশ খান্নার সঙ্গে তাঁর জুটি বলিউডের অন্যতম মূলধন ছিল। যাই হোক, সেই যুগের বক্সঅফিস কাঁপানো অভিনেত্রী আচমকাই অভিনয় ছেড়েছিলেন। এমনকী এখন তিনি প্রবীণ অভিনেত্রী হিসেবেও পর্দায় ধরা দেন না। কেন জানেন?
প্রতিবেদন অনুযায়ী, একবার অভিনেত্রী একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, একসময় কাজ আমার কাছে খুব কম আসত, মায়ের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য বেশি প্রস্তাব পেতাম। লোকেরা আমার কাছে এসেছিল। আমি কতগুলি ছবিতে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেও ছিলাম, কিন্তু আমি এই চরিত্রে খুশি ছিলাম না। আমি বিশ্বাস করিনি যে, আমি যা করছিলাম তা ঠিক ছিল। আমার মনে আছে, একবার একটি চলচ্চিত্রে একটা নায়কের দ্বারা আমি অত্যাচারিত হয়েছিলাম। কারণ নায়কের শুটিংয়ের শিফট ছিল সকাল ৯:৩০ টায়, কিন্তু তিনি সন্ধ্যা ৬:৩০ টায় আসেন। তখন আমার মনে হচ্ছিল, আমি প্রাপ্য সম্মান হারাচ্ছি। একজন নায়কের জন্যে এতক্ষণ বসে থাকা সত্যই আমার কাছে অত্যাচার সমতুল্য ছিল। তবে এই সবের মধ্যে দিয়ে নিজেকে সামলানো ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। আমি শট দেওয়ার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইনি। এরপরেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমি আর কাজ করতে চাই না। এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হলেও আমাকে জীবনের কিছু পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। আমি এখন বার্ধক্যের খাতায় নাম লিখিয়েছি, আর মিস্টার বচ্চন এখনও তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসে সফল। সেখানেও কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি, তবে আমাদের এই সুযোগ দেওয়া হয় না। তাই আমি যদি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাই, আমি অবশ্যই ফের কাজ করব।
আশা অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল, ‘জব পেয়ার কিসি সে হোতা হ্যায়’ (১৯৬১), ‘তিসরি মঞ্জিল’ এবং ‘দো বদন’ (১৯৬৬), ‘কাটি পাতং’ (১৯৭০), ‘ক্যারাভান’ (১৯৭১), এবং ‘মে তুলসি তেরে আঙ্গন কি’ (১৯৭৮)। তবে ৯০ এর দশকে বলিউডের, খুব কম চলচ্চিত্রেই অভিনয় করেছিলেন আশা পারেখ। অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার পর, আশা একটি গুজরাটি সিরিয়াল জ্যোতিতে টেলিভিশন পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি শেষবার ২০০৮ সালে, একটি রিয়ালিটি শোয়ের বিচারক ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ