বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঝালমুড়ি খাওয়া নিয়ে বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয়। রবিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় ও সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে কুলিয়ারচর পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও বেপারীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলিয়ারচর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিল হুমায়ুন কবির ও সাবেক কাউন্সিল মো. অলিউল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে রোববার সন্ধ্যায় ঝালমুড়ি খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনা রেশ ধরে সোমবার দুপুরে আরেক দফায় বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুই পক্ষেই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কুলিয়ারচর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো.অলিউল্লাহ জানান, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে একটি দোকানে তার ছেলে আলভী ও ভাতিজা জনি ঝালমুড়ি খেতে যায়। এ সময় বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের ভাতিজা হাবিব, মামাতো ভাই সুজনসহ বেশসহ কয়েকজন এসে একই দোকানে ঝালমুড়ি খেতে আসে। সেখানে তারা আগে খেতে চাইলে এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তারা তার ছেলে এবং ভাতিজার ওপর হামলা করে।
এ বিষয়ে বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বলেন, তার লোকজনের সঙ্গে আমার লোকজনের কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। সংঘর্ষ হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। গতকাল রাতে ঝালমুড়ি ও ফুচকার দোকানদার আল-আমিনের দোকানে বেশ কয়েকটি মেয়ে ফুচকা খেতে আসে। এ সময় সাবেক কাউন্সিলর অলিউল্লাহ'র ছেলে আর ভাতিজা এসে তাদেরকে উত্যক্ত করে। দোকানদার বিষয়টিতে প্রতিবাদ করলে তারা তাকে মারধর করে। এতে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ দুপুরে তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমার ভাতিজা হাবিব আর স্থানীয় কয়েকজন রিকশাচালককে মারধর করলে এ নিয়ে আবারও উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কুলিয়ারচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।