বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পদ্মা সেতু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যঙ্গাত্মক ছবি পোস্ট করায় দুই যুবককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। রোববার সন্ধ্যায় মাগুরা সদর উপজেলা হাজরাপুর ইউয়িনের আলমখালী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই দুই যুবককে মাগুরা ২৫০শয্যা সদর হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে।
আহত দুই যুবক মধ্যে একজন মাসুম রেজা (২৪)। তিনি হাজরাপুর গ্রামের মো. সোলাইমান মিয়ার ছেলে সে ঢাকার একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএসসি অধ্যয়নরত। অপর যুবক আকিদুল ইসলাম (২৮) একই এলাকার বাসিন্দা।
আহত মাসুম রেজা জানান, গত কয়েকদিন আগে আকিদুলের সাথে শ্রীপুর উপজেলার বড়রিয়া বিলে ঘুরতে গিয়ে খামারপাড়া খালের উপর বাঁশের তৈরি একটি সাকোতে দুই বন্ধু সেলফি তোলেন। সম্প্রতি আকিদুল তার ফেসবুক আইডিতে সেই ছবি পোষ্ট করে লিখেছিলেন, 'আমরা পদ্মা সেতুতে উঠেছি।' সেই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় হাজরাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কবির হোসেন আলমখালী বাজার এলাকায় তার নিজ কার্যালয়ে ওই দুই যুবককে ডেকে আনেন। এরপর তাদের এই ছবির ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে। এরই মধ্যে চেয়ারম্যানসহ সেখানে উপস্থিত তার সমর্থকরা তাদের বেধড়ক মারধর শুরু করেন বলে জানান মাসুম।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিঠুন কুমার সাহা বলেন, আহত অবস্থায় দুই যুবক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের হাতে, পায়ে ও মাথায় আঘাত রয়েছে।
হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, ওই দুই যুবক বাঁশের সাকোতে দাড়িয়ে পদ্মা সেতুতে উঠেছে এবং পদ্মা সেতুতে বাঁশ দেওয়া হয়েছে বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। এজন্য স্থানীয় কিছু যুবক তাদেরকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে। এ ঘটনার সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, এ ধরণের কোনো ঘটনা আমাদের জানা নেই। তবে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।