পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তানিয়া নামে একটি শিশু ১৯৯৮ সালে ৬ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ঢাকা সিএমএম কোর্টের পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। তানিয়ার সেই ঘটনার ২০ বছর পার হওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত বিচার পায়নি। এ অবস্থায় অতি সম্প্রতি শিশু পূজাকে ধর্ষণের বিচার আশা করি কীভাবে? এমনই মন্তব্য করলেন মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান। গতকাল একটি বেসরকারি টিভির সংবাদে মন্তব্যকালে তিনি আরও বলেন, তানিয়ার বয়স হয়তো এখন ২৫ থেকে ২৬। তখন ওই ঘটনার বিচারের জন্য আমরা সবে মিলে আন্দোলনও করেছিলাম কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ওই অপরাধী আজও মুক্ত। এখন পর্যন্ত তার কোন বিচার হয়নি। সেখানে বর্তমান এমন পরিস্থিতির নিষ্পত্তির আশা করি কীভাবে?
এলিনা খান বলেন, তানিয়া তখন পুলিশকে অপরাধীর মাথায় লম্বাচুলসহ বিভিন্ন উপসর্গ বর্ণনা দিয়েছিলেন। পুলিশ তার কোন কথাই পাত্তা দেয়নি। বরং অপরাধীকে সাহায্য করেছে। কারণ, পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্যই হয়তো তাকে বাঁচিয়ে দেয়া হয়েছে। যেটি আমি বলবো সৎ ইচ্ছার অভাব ছিল আমাদের পুলিশ প্রশাসনের।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ প্রশাসন একটা বড় ব্যাপার। কোন ব্যক্তির অপরাধের জন্য পুরো পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করা যায় না।
ব্যক্তি অন্যায় করতে পারে, সেই অন্যায়টিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য যদি পুলিশই সাহায্য করে তখন কিন্তু তা অবিরত বেড়েই চলবে।
অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, ১৯৯৮-এর ৬ বছরের তানিয়া যদি বিচার পেত তাহলে বর্তমানের এমন এই ৫ বছরের শিশুটি আর ধর্ষণের শিকার হতো না। পূজা আজকে ঢাকা মেডিকেলে যেভাবে চিৎকার করছে, ঠিক একইভাবে তানিয়াও সেই সময়ে ঢাকা মেডিকেলে চিৎকার করেছিল। আমরা তখন তানিয়ার বিচারের জন্য আন্দোলন করেছিলাম কিন্তু বিচার পাইনি। এই যে বিচারহীনতার প্রভাব সমাজে আস্তে আস্তে আরও বৃহৎ আকারে হবে বলে ধারণা করছি। তাই অবিলম্বে এটা বন্ধ করা দরকার।
অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, আমরা বিচার মানে মনে করি যে আদালতে বিচার। কিন্তু তা নয়। কারণ, বিচার শুরু হয় থানা থেকে। কোর্টে যাওয়ার আগে যে কাজগুলো হয় এফ আইয়ার, চার্জশিট, আলামতসহ বিভিন্ন অনুসন্ধানগুলো যদি সঠিকভাবে না দেয়া হয়, তাহলে কোর্টের কাছে গিয়ে সঠিক বিচার আশা করা যায় না। কারণ, কোর্টে প্রমাণ দেয়া হয়েছে সেই অনুযায়ীই কোর্ট বিচার করেন। যেটা আমি মনে করি বিচারহীনতার আরও একটি অন্যতম দিক। তাই পুলিশের এই সকল বন্ধে দায়িত্ব অনেক। সুতরাং ওই সকল কর্মকা-ে যখন বাধা সৃষ্টি হয় তখন সুষ্ঠু বিচার আশা করা যায় না। আর এইগুলো হয় ক্ষমতার কারণে। ক্ষমতা দিয়েই আমাদের দেশের বেশিরভাগ বিচার করা হয়। তাই আমি একজন আইনজীবী হিসেবে বলতে বাধ্য হচ্ছি এটা বন্ধ নাহলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটবে। আমাদের দেশে ক্ষমতাসীন ঘরেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তাদের এত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা কিন্তু বিচার পায়নি। এর কারণ কি? জবাবে তিনি বলেন, এটা ক্ষমতার ওপরে ক্ষমতার প্রভাব দেখানো হয়েছে। মোটকথা, ক্ষমতার প্রভাব থেকেই যাচ্ছে। তাই ক্ষমতা ক্ষমতার লড়াইয়ে আমরা না যাই। এখানে আমার মতে বিচারহীনতার প্রভাব বেড়েই চলছে। অতএব, আমরা যদি প্রথম থেকেই এই সকল ঘটনার বিচার পেতাম তাহলে আজকের আবার এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হতো না। তাই আমার একটা চাওয়া এই ধরনের ঘটনার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করলে হয়তো বা এই সকল সমস্যার সমাধান হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।