Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শনাক্তের হার বেড়ে ১৫.৬৬ শতাংশ, ২ জনের মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

মাস্ক না পড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা বেড়ে যাওয়ায় দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে গেছে। করোনার টিকা কার্যক্রম চলায় নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে মানুষ। এতে করে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষা কমে গেছে। তারপরও দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী ধারার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে শনাক্তের হার হয়েছে ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ৬৮০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত শনিবার এই শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ২৮০ জন। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৩ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৬৯ জন করোনা রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৮৮ জন সেরে উঠেছেন।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে গত ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে এসেছিল। গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কিছু দিন। তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন আবার ১০০ ছাড়িয়ে যায়। ১২ দিনের মাথায় শুক্রবার তা দেড় হাজারের ঘরও ছাড়ায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীর মধ্যে এক হাজার ৫১৩ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মোট ৩৪টি জেলায় করোনা রোগী পাওয়া গেছে। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার এখন ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। নতুন করে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের ঢেউ উঠায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তারা একই সঙ্গে করোনা হাসপাতালে আইসিইউ ও বেড় প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ