বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হঠাৎ করে গোখাদ্যের মূল্য উর্ধ্বমুখি হওয়ায় কোরবানির পশু নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। একদিকে ন্যায্য মূল্যে কোরবানীর পশু কেনা যাবে কিনা এনিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন রূপগঞ্জের মানুষ। অন্যদিকে অধিক মূল্যে কোরবানীর পশু তৈরি করে সঠিক মূল্য না পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কোরবানির পশু বিক্রেতারা ও খামারীরা।
খামারি ও গোখাদ্য ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকা কেজি দরের গম ও অ্যাংকর ডালের ভুষি ৫৭ টাকা, ৪৫ টাকা কজি দরের খেসারির ভুষি ৫৫ টাকা, ৩৪ টাকা কেজি দরের মশুরির ভুষি ৪২ টাকা, ১১ টাকা কেজি দরের ধানের গুঁড়া ১৫ টাকা হয়ে গেছে। গরু পালনকারীরা সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন মূল গো-খাদ্য খড় কিনতে গিয়ে। কয়েক দিন আগেও ৩৫০ টাকা মণ দরে খড় বিক্রি হতো, এখন সেই খড়ের দাম হয়েছে ৫০০ টাকা। তা-ও ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না।
খামারিরা অভিযোগ করে জানান, প্রতি বস্তায় ৩৭ কেজি করে ভুষি থাকার কথা থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা দুই থেকে তিন কেজি করে কম দিচ্ছেন। এসব ব্যবসায়ী বস্তা থেকে দুই থেকে তিন কেজি ভুষি বের করে তা নতুন করে সেলাই করে দেন। আবার কোনো কোনো ব্যবসায়ী ওজন সঠিক দেখানোর জন্য তুষ, পচা আটা, ধানের গুঁড়াসহ বিভিন্ন ধরনের ভেজাল মিশিয়ে দিয়ে থাকেন। খামারিরা বস্তাগুলোতে নিখুঁত সেলাই ও লেবেল দেখে তা ভালো ভুষি মনে করে কিনে নিয়ে যান। এতে তারা প্রতারিত হন। ভোজাল গোখাদ্যের কারণে পশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
খামারিরা জানান, একটি গরু হৃষ্টপুষ্ট করতে অন্তত ছয় মাস লালন-পালন করতে হয়। গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরুও বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। তবে গরুর দাম বাড়লে মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে। তাই বাজার পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় আছেন খামারিরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুশরাত জাহান বলেন, ভেজাল গো-খাদ্য ও নকল ওষুধের ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে যাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নাবিল অ্যাগ্রো ফার্মসের মালিক নায়িম ভুইয়া বলেন, এবার আমাদের খামারে দেশী জাতের ১৫টি গরু পালন করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে এসব গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে এ বছর গরু পালনের খরচ বেশি। তাই বাজার কেমন হয় তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরুর দামও বেশি হতে হবে।
ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু এলে তারা ভালো দাম পাবেন কি না সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন খামারিরা। এ বছর খামারগুলোতে কোরবানিযোগ্য পশু আছে চাহিদার চেয়েও বেশি। তাই কোরবানির জন্য পশু আমদানির প্রয়োজন হবে বলে মনে করছে না জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিগেন মোল্লা এ ব্যাপারে বলেন, এবারো চাহিদার চেয়ে বেশি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। গরু লালন পালনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার দাম কিছুটা বেড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।