Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কটিয়াদীতে সড়ক ভেঙে নদীতে ১০ গ্রামের যাতায়াত বন্ধ

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করায় বৃষ্টির পানি চাপে সড়ক ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের মসুয়া বাজার থেকে উপজেলা সদরে যাওয়ার সড়কের বেতাল বাজার এলাকায় এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে ১০ গ্রামের মানুষের। স্কুল-কলেজ, মাদরাসা শিক্ষার্থীরা যেতে পারছেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। উপজেলার মসুয়া বাজার থেকে বেতাল বাজার হয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। বেতাল বাজার থেকে অর্ধকিলোমিটার উত্তরে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, এখানে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি নালা ছিল। ৩ বছর পূর্বে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ লাইনটি বন্ধ করে সাফির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করে। এখন একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির ফলে পানির চাপে সড়কটি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে বন্ধ রয়েছে ১০ গ্রামের লোকজনসহ স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত। স্থানীয় কৃষকেরা উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য উপজেলা সদরের বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না। ফলে সবজি নষ্ট হয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বেতাল গ্রামের বাসিন্দা মো. ডালিম মিয়া জানান, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য এখানে নালা ছিল। সেই নালা বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে রাস্তাটি ভেঙে গেছে।
মসুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ‘জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ভাঙনের স্থালে মাটি ও বালু দিয়ে ভরাট করা হবে। নালা বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে; সে বিষয়টি আমার জানা নেই।’
উপজেলা প্রকৌশলী জানান, সড়কটির বিষয়ে জেলায় জানানো হয়েছে। খোয়া দিয়ে আপাতত সড়কটি মেরামত করা হবে। আর মাটি ভরাটের কাজ করা হবে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, ‘সড়কটির ভাঙন বিষয় আমি অবগত নই। উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হবে। ভাঙা রাস্তাটি মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ