বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বন্যার প্রভাবে ও বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। এর মধ্যে পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। রবিবার (২৬ জুন) বিকেলে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় (একদিনে) নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং বন্যা সৃষ্ট দুর্ঘটনায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এ সময়ে নতুন করে পানিবাহিতসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৮ জন। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৯০ জন। প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ১০ জেলায় এখন পর্যন্ত ৮৪ জন মারা গেছেন। সিলেট বিভাগেই ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জে ২৬, সিলেটে ১৮, মৌলভীবাজারে ৪ ও হবিগঞ্জে ৪ জন মারা গেছেন। ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ৫, নেত্রকোণায় ৯, জামালপুরে ৯ ও শেরপুরে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত বন্যায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৩ ও লালমনিরহাটে একজন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ১৭ মে থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১১৬ জন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৩ জন, এ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন, তাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর চর্ম রোগে ৩২৭, চোখের প্রদাহজনিত রোগে ১০২ ও নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ১১৮ জন। এছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।