Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেভেরোদোনেৎস্কের পতন রাশিয়ার জন্য আরও একটি বড় অর্জন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২২, ৬:৫৫ পিএম

রোববার রাশিয়ান বাহিনী সম্পূর্ণরূপে সেভেরোদোনেৎস্ক দখল করেছে। এটি একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের সর্বশেষ প্রতীক। গত মাসে মারিউপোল বন্দর দখল করার পর থেকে এটি হচ্ছে মস্কোর সবচেয়ে বড় বিজয়৷

‘শহরটি এখন রাশিয়ার সম্পূর্ণ দখলে রয়েছে,’ শহরের মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক জাতীয় টেলিভিশনে বলেছেন, ‘যে কেউ পিছনে থেকে গেছে তারা আর ইউক্রেনীয়-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পৌঁছাতে পারবে না, কারণ শহরটি কার্যকরভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, ইউক্রেনের অ্যাজোট রাসায়নিক প্ল্যান্টকে প্রতিরোধের আরেকটি কেন্দ্রে পরিণত করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

রাশিয়া এখন সিভারস্কি ডোনেটস নদীর বিপরীত তীরে যেখানে সেভেরোদোনেৎস্কের যমজ শহর লাইসিচানস্কের দিকে লক্ষ্যস্থির করেছে। দুটি শহর এবং আশেপাশের এলাকাগুলি লুহানস্ক প্রদেশে ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের শেষ প্রধান পকেট, যার ৯৫ শতাংশ রাশিয়ান এবং স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাশিয়ান এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী ডনবাসের দ্বিতীয় প্রদেশ ডোনেৎস্কের প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে।

সেভেরোদোনেৎস্কের দখল মস্কোকে লুহানস্কের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের কাছাকাছি নিয়ে আসে। রাজধানী কিয়েভ থেকে আল জাজিরার চার্লস স্ট্রাটফোর্ড রিপোর্ট করছে যে, সেভেরোদোনেৎস্ক থেকে প্রত্যাহারের ফলে ইউক্রেনীয় বাহিনী লুহানস্কের একটি অবশিষ্ট শহরের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। ‘যদিও এখন বড় প্রশ্ন হল ইউক্রেনীয়রা লুহানস্ককে ধরে রাখতে পারবে কিনা’। ‘এটিকে মৌলিকভাবে বর্ণনা করা হচ্ছে, গত মাসের মারিউপোলের পর ইউক্রেনের বাহিনীর জন্য সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় পরাজয়,’ তিনি বলেন।

এখন রুশ সেনা তাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ লাইসিচানস্কের দিকে নিবদ্ধ করতে পারবে। যার পতন হলে সমগ্র লুহানস্ক তাদের করায়ত্ব হবে। সেভেরোডোনেৎস্কের পতন হওয়ায় এ শহরটি তারা এখন স্থল ও নদী - সব দিক থেকেই অবরোধ করতে পারবে। মস্কো বলেছে যে, লুহানস্ক এবং ডোনেৎস্ক, যেখানে তারা ২০১৪ সাল থেকে বিদ্রোহকে সমর্থন করেছে, তারা স্বাধীন দেশ এবং ইউক্রেনকে দুটি প্রদেশের সমগ্র এলাকা বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ