Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবার বেড়েছে লবণের দাম, আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২২, ৯:৫১ এএম

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে ব্যবহৃত অপরিশোধিত লবণের চাহিদা বেড়েছে।

বাজারে চাহিদা বাড়ায় নারায়ণগঞ্জের পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্র নিতাইগঞ্জ লবণ বাজারে লবণের দামও বেড়েছে। সেখানে প্রতি বস্তা (৭৪ কেজি) অপরিশোধিত লবণ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ৭৪ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা লবণ ১ হাজার ৮০ টাকা থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক মাস আগে তা ৯৮০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারের চাহিদা অনুযায়ী লবণ না থাকা, উৎপাদন খরচ, পরিবহন খরচ বৃদ্ধি ও কক্সবাজারের লবণ চাষি-ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেও দাম বেড়েছে।

অপরিশোধিত লবণের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

এ ছাড়া, আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে লবণের চাহিদা বাড়তে পারে। এই সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী লবণের দাম বাড়াচ্ছেন।

আয়োডিনযুক্ত লবণের দামও বেড়েছে

পাইকারি বাজারে আয়োডিনযুক্ত খাওয়ার লবণের দাম বস্তা প্রতি (২৫ কেজি) ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে এসিআই ৭৫০ থেকে বেড়ে ৭৮০ টাকা হয়েছে। কনফিডেন্স ৭৩০ থেকে বেড়ে ৭৬৫ টাকা হয়েছে। মোল্লা সুপার সল্ট ৬৪০ থেকে বেড়ে ৬৬০ টাকা হয়েছে। অন্যান্য ব্রান্ডের লবণ ৪৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬০ টাকা হয়েছে।

বিসিক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সারা বছরের লবণের চাহিদা কিন্তু চাষি, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই নিরূপণ করা হয়। এখন যদি ব্যবসায়ীরা ভিন্ন কথা বলেন তাহলে আমাদের কী করার আছে?'

তিনি আরও বলেন, 'ঈদকে কেন্দ্র করে লবণের চাহিদার কথা ভেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অগ্রিম লবণ আমদানির চিঠি দেওয়া হয়েছে। লবণ নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে কেউ যদি দাম বাড়িয়ে দেয় আমার কী করার আছে? দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আমি আর কী বলব?'

বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার জেলায় ৬১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ লবণ উৎপাদিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই জেলায় ১৮ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিকটন লবণ উৎপাদিত হয়েছে।

গত এক দশকের মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিকটন লবণ উৎপাদন হয়েছিল। গত ৫ বছরে লবণ চাষের জমি ও চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

বিসিক জানায়, কক্সবাজারে বাণিজ্যিকভাবে লবণ উৎপাদন শুরু হয় ১৯৬০ সালে। বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয় কক্সবাজার জেলায়। মোট উৎপাদনের প্রায় ৯০ শতাংশ লবণ আসে এই জেলা থেকে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বাকি লবণ উৎপাদিত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ