বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া অনেকটা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো। অসুস্থ রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিতে হলে হাসপাতালের সামনে অবৈধভাবে থাকা বিভিন্ন বে-সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও দালালদের খপ্পড়ে পড়তে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের। এতে করে জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে আনা-নেওয়া করতে গুনতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া। হাসপাতালটিতে চারটি অ্যাম্বুলেন্স থাকার পরও সেবা না পাওয়ায় হাসপাতালে আগত রোগী ও স্বজনদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল কমপ্লেক্সের সামনে খোলা আকাশের নিচে প্রায় ১৫ বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে দুইটি অ্যাম্বুলেন্স। অন্য একটি যান্ত্রিকক্রটি ও চালক না থাকায় বিকল হয়ে পড়েছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো বিকল হওয়ায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। এরই মাঝে গত ১৭ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের মাধ্যমে ২৭ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের একটি অ্যাম্বুলেন্স পায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রায় ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ এই হাসপাতালে কোন চালক নিয়োগ না দেওয়ায় এটিও অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধানের অভাবেই অ্যাম্বুলেন্সগুলো চলাচলের স¤পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, যান্ত্রিক ক্রটির কারণে ২০০৬ সালে বিকল হয়ে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘ সময় অচল পড়ে থাকায় ইঞ্জিন স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। একইভাবে ২০১৩ সালে অচল হয়ে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স। রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স দুটির যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যায়। প্রায় ৩ বছর চালক না থাকায় অপর একটি অ্যাম্বুলেন্সও দীর্ঘ সময় অচল পড়ে থাকায় ইঞ্জিন স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপজেলায় প্রায় ১৫ লাখ লোকের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স সচল থাকলেও চালক না থাকায় রোগীদের কোন কাজে আসছে না। এতে করে উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল আলম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, চারটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে তিনটি অচল হয়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটিতে অ্যাম্বুলেন্স চালকের পদটি শূণ্য রয়েছে। চলতি বছর আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে যুক্ত হয়েছে। এটি যাতে কোনভাবে বিকল না হয়, তার জন্য আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে চালক নিয়োগ দেওয়া হবে। বিকল হওয়া অ্যাম্বুলেন্স সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।