Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষমতার দাপটে ঘর নির্মাণ করে ইচ্ছেমাফিক বণ্টন

স্কুল ফান্ডে জমা হয়েছে মাত্র ২ লাখ

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জেলার সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার ক্ষমতাবলে দোকান ঘর উত্তোলন করে তা বণ্টন করছেন। ফলে স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো উন্নয়ন কাজ করতে দুই লক্ষ টাকার অধিক হলে ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে সেই কাজের ইস্টিমেট তৈরি করতে হয়, কিন্তু সভাপতি তা না করে নিজেই এই কাজ করছেন। কোনো দোকান বরাদ্দ দিলে বরাদ্দের টাকা স্কুল ফান্ডের ব্যাংকে জমা রাখতে হয়, ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে সেই টাকা প্রকল্পে ব্যয় করতে হয়, কিন্তু তিনি সেই আইনও মানেননি। অভিযোগে জানা গেছে, কৃষ্ণপুর বাজারে স্কুলের জায়গায় ৩০টি নতুন দোকান উত্তোলন করা হয়েছে। এসব দোকানপ্রতি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আড়াই/তিন লাখ টাকা নেয়া হলেও স্কুলের ফান্ডে জমা দেয়া হয়েছে দুই লাখ টাকা। তাছাড়া যারা দোকানের জন্য আবেদন করেছিল তাদের অনেককেই দোকান না দিয়ে একই ব্যক্তিকে কয়েকটি করে দোকান দেয়া হয়েছে। বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, দোকান ঘর উত্তোলন করা এবং বণ্টন নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়া নতুন করে আরো ১১টি দোকান ঘর উত্তোলনের জন্য পুরাতন দোকানগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এসব দোকান ভাঙার জন্য একটি রেজুলেশন হলেও দোকান উত্তোলন ও পুরাতন দোকানের সরঞ্জাম বিক্রির কোনো রেজুলেশন হয়নি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার ইচ্ছেমতো কাজ করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য জানান, সভাপতি তার ইচ্ছেমতো কাজ করে যাচ্ছেন। স্কুলের শিক্ষক ও সদস্যদের কোনো কথাই তিনি মানছেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ, নতুন ৩০টি দোকান যাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়া হলেও স্কুল ফান্ডে কম টাকা জমা দেয়া হয়েছে। নতুন আরো যে ১১টি দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে আগে থাকা পুরাতন ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে অন্য ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দ দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সভাপতির ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক খন্দকার আমিরুল হক বলেন, স্কুলের দোকান নির্মাণের বিষয়ে রেজুলেশন করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আয়-ব্যয়ের হিসাব এখনো করা হয়নি। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আকতারুজ্জামান তিতাস তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। আমি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর স্কুলের সংস্কার কাজে হাত দিয়েছি। কাজ করতে গেলে নানা কথা ওঠে। যেসব কথা উঠেছে তা একেবারেই মিথ্যা। আমি অন্যায় কিছুই করিনি।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ