রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শেরপুরের মহারশী নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ফি-বছর ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা শহর ডুবে যায়। ঢলের পনিতে নিচতলার অফিসগুলোর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট ছাড়াও কাজকর্ম ব্যাহত হয়। উপজেলা শহর ডুবে দোকানে ঢলের পানি ঢুকে ব্যবসায়দের অপুরণীয় ক্ষতি হয়। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোতে পানি প্রথমেই উপজেলা শহর, উপজেলা পরিষদ, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা-মসজিদ এবং মহারশী নদীর দু’পাড়ের এলাকা ডুবে যায়। পানি ওঠতে শুরু করে নিমিষেই সব কিছু লন্ডভন্ড করে ফেলে। সর্বনাশা ঢলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন উপজেলা শহরের ব্যবসায়ীগণ। কাঁচাবাজার ও খাদ্যপণ্যের দোকানে হঠাৎ পানি প্রবেশ করে ব্যবসায়ীদের প্রচুর মালামাল নষ্ট হয়। পানির স্রোত বয়ে যায় উপজেলা শহর ও উপজেলা পরিষদের নিচতলার অফিস দিয়ে। শুধু এ বছরই তা নয়। যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে এ অবস্থা। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড এ দিকে নজর দিচ্ছে না। ঝিনাইগাতীতে নির্মাণ করছে না শহর রক্ষা বাঁধ। ফলে ফি-বছর বর্ষায় ঢল আতংক আর আশংকায় থাকে উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথাই নেই। চলতি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে শেরপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক ঝিনাইগাতী শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে অত্যন্ত জোড়ালো বক্তব্য রেখেছেন। শেরপুর জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবিলম্বে ঝিনাইগাতীতে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য চিঠি দিয়েছেন। কিন্তুু আজো কোন অর্থ বরাদ্দ না হতাশ হয়ে পড়েছে সর্বশ্রেনীর মানুষ। স্বাধীনতার ৫১ বছরেও এখানে কোন সরকারই শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেননি। ফলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে সর্বশ্রেনীর মানুষ। অথচ শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায় ফি-বছর বর্ষাকালে মহারশী নদীতে ঢলে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা শহরে পানিত ডুবে যায়। পানি স্থায়ী হলে, সর্বনাশ হয়ে যাবে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা শহর। তারপরও শহর রক্ষা বাঁধ নির্মিত হচ্ছে না। এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ মহারশী নদীতে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, সংসদ সদস্য মহোদয় সংসদে এ ব্যাপারে বরাদ্দ চেয়ে জোড়ালো দাবি জানিয়ে বলিষ্ঠ বক্তব্য রেখেনে। তা ছাড়া শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন। আশা করছি শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ দ্রুতই হয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।