রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে আংশিক নিয়োগ দিয়ে অবশিষ্ট নিয়োগের জন্য পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মোটা অংকের নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে জেলার জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল ৪ জন প্রভাষক, ২ জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং ২ জন এমএলএসএস নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হলেও একই মাসের ২৭ তারিখ অ্যাডহক কমিটি গঠনের আগ মুহূর্তে অধ্যক্ষ ওয়াহেদুজ্জামান রুবেলের স্ত্রীসহ ৪ জন প্রভাষক নিয়োগ দিয়ে অফিস সহকারী ও এমএলএসএস পদে নিয়োগ না দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বরওই দুই পদে পুনরায় নিয়োগ প্রদানের জন্য জাতীয় একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। অভিযোগে আরো জানা যায়, অধ্যক্ষের স্ত্রী মনিরা বেগম স্কুল শাখার একজন সহকারী শিক্ষক হলেও তাকে কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং স্কুল শাখা হতে নিয়মিত বিল উত্তোলন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ওয়াহেদুজ্জামান রুবেল ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সারওয়ার হোসেন সাদেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, নন-এমপিওভুক্ত কলেজ হওয়ায় বিল উত্তোলনে কোনো বাধা নেই।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ প্রসঙ্গ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
গত ১৯ নভেম্বর ’১৬ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত ‘প্রভাবশালীদের দখলে খেলার মাঠ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন মোঃ কামরুল হোসেন ও নাছির আলম শিকদার। প্রতিবাদলিপিতে তারা জানান, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় জগতপুর (দ.) ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতায় বাতাকান্দি মৌজার ১৭২ শতক নাল শ্রেণি ভূমির আমরা বায়না-ক্রয় সূূত্রে মালিক। প্রকৃতপক্ষে সংশ্লিষ্ট ভূমিটি মালিকানাধীন, খাস ভূমি নয়। চার নেতাকে জড়িয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তাও ভিত্তিহীন। উক্ত ভূমিতে কখনই চার নেতার আগমন ঘটেনি। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের মিথ্যা, ভুয়া, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রথমত খেলার মাঠটি কার কাছ থেকে বায়না সূত্রে ক্রয় করেছেন তার নাম উল্লেখ নেই। এমনকি প্রতিবাদলিপির সাথে বায়নার দলিলপত্রও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে দেয়া হয়নি। ভূমিটি যুগের পর যুগ এলাকাবাসী খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একাধিক মহল ওই ভূমিটি দখলে নিতে বার বার চেষ্টা করলেও এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে তা পারেনি। এই খেলার মাঠ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মোকদ্দমা বিচারাধীন। এদিকে বায়না সূত্রে মালিক দাবি করে উক্ত জমিটি দখলে নিয়েছে মোঃ কামরুল হোসেন ও নাছির আলম সিকদার। যার বিএস খতিয়ান নং-১৮। জমির মৌজা নং-২১৫ ও দাগ নং-৩১ ঠিকই আছে শুধু খতিয়ান নং বদল হয়েছে বার বার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।