পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ১ হাজার ৬৮৫ জনের ভাইরাসটিতে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৬২ হাজার ২১৪। তবে এই সময়ে সংক্রমিত হয়ে আর কারও মৃত্যু হয়নি। করোনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ১৩৫। গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। তবে করোনার নতুন ঢেউ সংক্রমনশীলতা বেশি হলেও রোগের তীব্রতা কম বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
দৈনিক শনাক্তের চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরও (২০২১) জুন-জুলাই মাসে শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে এসে তা কমতে থাকে। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি এসে তা আবার বাড়তে থাকে। প্রায় আড়াই মাস তাণ্ডব চালিয়ে মার্চের মাঝামাঝি এসে কমে সংক্রমণ। আবার তিন মাস মাঝে বিরতি দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। যা প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছেই। গত বৃহস্পতিবারও শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩১৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৫০টি। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৩৩টি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ১ কোটি ৪২ লাখ ৭২ হাজার ৮৩৯টি। এসময় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ। যা এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হারের প্রায় কাছাকাছি। এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসটি থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন আরও ১৮৫ জন। আর এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৪১৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৬ শতাংশ, আর মারা গেছেন ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
করোনার নতুন ঢেউ সংক্রমনশীলতা বেশি হলেও রোগের তীব্রতা কম বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এবার করোনা রোগের লক্ষণগুলো আগের মতো তীব্র নয়, অনেকাংশেই কম। রোগের তীব্রতা কম হওয়ার কারণেই বেশিরভাগ মানুষ করোনা পরীক্ষা করছেনা। প্যারাসিটামল কিংবা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধেও অনেকে ভালো হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে করোনা আক্রান্ত রোগী ডাক্তারের কাছে এবং হাসপাতালে কম যাচ্ছেন।
এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, করোনা রোগে বর্তমানে তীব্রতা কমের দুটো কারণ হতে পারে-একটি হচ্ছে অধিকাংশ লোক দুই বা তিন ডোজ টিকা নিয়েছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে ওমিক্রনের বিএ৪ এবং বিএ৫ দুটি উপধরনের কারণে রোগের তীব্রতা কম। তাই এসবকিছু পর্যবেক্ষণ করে বলা যায়, সংক্রমনশীলতা বেশি হলেও রোগের তীব্রতা কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।