বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাঙ্গালী জাতির স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কালের সাক্ষী হয়ে থাকল মুন্সীগঞ্জবাসী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই মাওয়ায় সর্বপ্রথম পদ্মাসেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ক্ষমতার পালা বদলের ফলে সেতুর নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসলে ২০১৪ সালে পুনরায় মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়ানে সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পদ্মাসেতু নির্মানের শুরুতে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র, দূর্ণীতির অভিযোগ আর বিশ^ ব্যাংকের অর্থপ্রদান থেকে সরে যাওয়াসহ কোন প্রতিবন্ধকতা বাধা হতে পারেনি পদ্মাসেতু নির্মানে। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ২০১৭ সালে ৩০ সেপ্টেম্বরে জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের উপর প্রথম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সেতুর অবকাঠামো নির্মান শুরু হয়। তারপর একে একে বসতে থাকে পিলারের উপর স্প্যান। দৃশ্যমান হতে থাকে পদ্মাসেতুর মূল অবকাঠামো। সর্বশেষ গত বছরের ১০ ডিসেম্বর পদ্মার মাঝ নদীতে বসে সর্বশেষ ৪১ তম স্প্যান। আজ শনিবার কাক্সিক্ষত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনও হচ্ছে মাওয়া প্রান্তে । মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকা বাঙ্গালীর গৌরবের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মহেন্দ্রক্ষনের সাক্ষী হতে পদ্মার পাড়ে ছুটে এসেছেন আশপাশ এলাকার জনতা। ঢাকার ধানমন্ডি থেকে মা ও ছোট ভাই বোনকে নিয়ে এসেছেন মো. সাজ্জাদুল হক। তিনি বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবং বর্ণিল আয়োজন দেখতে এসেছি। পাশাপাশি কালের সাক্ষী হয়ে থাকলাম। মো. রমজান হোসেন লৌহজং-এর শিমুলিয়া থেকে মা বাবাকে নিয়ে এসেছেন পদ্মা সেতু দেখাতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।